আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সমকামী নাইটক্লাবে হামলাকারীর নাম ওমর মতিন। তার বয়স ২৯। মতিনের জন্ম নিউ ইয়র্কে এবং তার মা-বাবা দুজনই আফগান। পরবর্তীতে তিনি ফোর্ট পিয়ার্সে বসবাস শুরু করেন। নাইটক্লাবটির শহর অরল্যান্ডো থেকে ফোর্ট পিয়ার্স গাড়িতে দুই ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। ওমর মতিন ২০০৭ সাল থেকে নিরাপত্তা সংস্থা জি ফোর এস-এর একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে আসছে।
এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ওমর মতিনের ইসলামপন্থী ভাবধারার দিকে ঝোঁক ছিল। তবে তার এই হামলার কোন আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্টতা এখনো পাওয়া যায়নি।
হামলা চালানোর সময় মতিন জরুরী নম্বর ৯১১ এ কল দিয়ে ইসলামিক স্টেটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। পরবর্তীতে আইএস এক বার্তায় বলেছে তাদের এক যোদ্ধা এই হামলাটি
[caption id="attachment_1867" align="alignleft" width="300"] মায়ামিতে দুজন পুরুষ পরস্পরকে চুম্বন করছে দেখে খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন ওমর মতিন[/caption]
চালিয়েছে। তবে আগে থেকে তাদের সাথে মতিনের যোগাযোগের কথা স্পষ্ট করে কিছু বলেনি সংগঠনটি।
মতিনের বাবা সাদিক মতিন সাংবাদিকদের বলেছেন, হামলাটির সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। তার ছেলে কিছুদিন আগে মায়ামিতে দুজন পুরুষ পরস্পরকে চুম্বন করছে দেখে খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু সে হামলার পরিকল্পনা করছে এটা পরিবার জানতো না।
রোববার দিবাগত রাতে পালস নাইটক্লাবে ওমর মতিন পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তার চালানো হামলায় ওই নাইটক্লাবে ৫০ জন নিহত হয়েছে। হামলাটি আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গুলিবর্ষণের ঘটনা।
সূত্র : বিবিসি
আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এফএফ