শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সেই বিতর্কিত ব্যক্তি আটক জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ

ডায়াবেটিস রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

daibetics জাকারিয়া হারুন : স্রষ্টা জানেন সৃষ্টির রহস্য।নির্মাতা জানেন নির্মিত বস্তুর ব্যবহারবিধি।মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন।তিনিই সম্যক অবগত, কিসে মানুষের কল্যাণ আর কিসে অকল্যাণ।বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর ফিরিস্তি বেশ দীর্ঘ।তাই এ নিবন্ধে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর রোজা পালন নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখতে পারে না বলে প্রায়শ বলে থাকেন।দীর্ঘ সময় উপবাসের ফলে রক্তে গ্লোকোজ অতিরিক্ত কমে যায়।প্রকৃতপক্ষে এটা একটা আতঙ্ক ছাড়া কিছুই না।ধরুন রোযা ছাড়া একজন ডায়াবেটিস রোগী রাতে ৯/১০ টায় আহার করে, ঔষধ খান। আবার সকাল৭/৮ টায় অহার করে, ঔষধ খান।১০ ঘন্টার মতো বিরতি থাকে। রোযার দিনে রাত দিন হয়ে যায়, আর দিন রাত হয়ে যায়। এটা যদি স্বাভাবিক হয়ে যায়,তবে রোযার দিনে ১৩/১৫ ঘন্টা উপবাসে হাইপোগ্লাসেমিয়া হওয়ার কথা নয়।হাইপোগ্লাসেমিয়া (রক্তে গ্লুকোজের স্বল্পতা)না হলে রোযা নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীর ভয় নাই। এ হাইপোগ্লাসেমিয়ার কারণগুলির মধ্যে রোযার ভূমিকা খুঁজে বের করা প্রয়োজন।তাই হাইপোগ্লাসেমিয়ার কারণসমূহ লিপিবদ্ধ করা হলো:

১. ভুলে যাওয়া বা অপরযাপ্ত খাবার গ্রহণ। ২. অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক ব্যায়াম বা পরিশ্রম। ৩. ইনসুলিনে অস্বাভাবিক ব্যবহার। ৪. গ্লুকোজের অভাব প্রতিরোধক পদ্ধতির দুর্বলতা। ৫. অজানা হর্মন রোগ। ৬.ডায়াবেটিস কমার ঔষধের মাত্রা/মেয়াদ ও প্রবেশ পথের ত্রুটি। উপরের কারণগুলি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে,এই হাইপোগ্লাসেমিয়া প্রায় সম্পূর্ণভাবে সমাধা করা যায় রোগীর উপযুক্ত ট্রেনিং দিয়ে।রোযা রেখে কেউ কঠোর পরিশ্রম করে না।বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা। প্রথর নাম্বারের কারণটিই সেহরীর সময় উপযুক্ত খাবার যেমন, মনো স্যাকারাইড(mono saceharide)ডাই স্যাকারাইড(disaceharide)ও পলি স্যাকারাইড(polysaceharide)জাতীয় মিশ্র খাবার এবং প্রোটিন ,চর্বি,শাকসব্জি ও ফলমূল সমেত সূক্ষ্ম ও অভ্যাসগত অভিঙ্গতা কে কাজে লাগিয়ে শবে বরাত থেকে যদি ডায়াবেটিস রোগীরা রোযা রাখার অভ্যাস করতে থাকেন,তবে ১ মাস সময়ে ডায়াবেটিস নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে। এই ১ মাসে হয়ত তাকে ২/১ দিন গ্লুকোজ খেয়েও হাইপোগ্লাসেমিয়া থেকে বাঁচতে হতে পারে।

রোযার দিনে ২বার ইনসুলিন নিয়ে বা ঔষধ খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।এখন এমন ঔষধ ও আবিষ্কার হয়েছে যে খাবার খেলে ঔষধ খাবে ।আর খাবার না খেলে ঔষধ খাওয়া লাগবে না। এছাড়া ক্র্যাশ অভিযানের মাধ্যমে ইনসুলিন বা ঔষধের মাত্রা সঠিক করে নিতে হবে।আর এ ব্যাপারে দ্বীনদার অভিঙ্গ হরমোন বিশেষঙ্গ বা মেডিসিন বিশেষঙ্গ ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /এআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ