আওয়ার ইসলাম ডেস্ক : বিএনপি অভিযোগ করেছে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিতেই দেশে সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যাগুলো সংঘটিত হচ্ছে।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে চলমান গুপ্তহত্যার ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা আছে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট হিসেবে তাঁর কাছে এ বিষয়ে সব তথ্য আছে। একদিন পর আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক হত্যকাণ্ডগুলোতে সরকারের সংশ্লিষ্টতার পাল্টা অভিযোগ করলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়ার পরও নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের এখনো খুঁজে বের করতে পারেনি সরকার। অধিকাংশ হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্য দিবালোকে হয়েছে। এ ধরনের নারকীয় ঘটনার ন্যূনতম হদিস বের করতে না পেরে চরম হতাশ হয়ে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের ওপর চাপাচ্ছেন। নিখুঁতভাবে সংঘটিত এসব হত্যাকাণ্ডের পর হত্যাকারীদের লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার ঘটনা রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিত না থাকলে কোনোভাবে সম্ভব হতে পারে না।’
বিএনপি মনে করে, চলমান গুপ্তহত্যার সাথে বিএনপিকে জড়ানোর উদ্দেশ্য বিএনপিকে নির্মূল করা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি উদারপন্থী, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এবং বিএনপি এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে সফল হয়েছে এবং গণতন্ত্রের জন্য এখনো সংগ্রাম করে চলেছে। তাই বিএনপিকে যেভাবেই হোক নির্মূল করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে তারা প্রথম থেকেই কাজ করে আসছে। সরকার একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। সরকার জোর করে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে সংসদ গঠন করেছে। সেই সংসদের কোনো জবাবদিহি নেই। ৫ শতাংশ লোকও সেই ভোটে অংশগ্রহণ করেননি। তারা (সরকার) জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেই পরবর্তী সময়ে প্রতিটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তাদের শক্তি প্রয়োগ করতে হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তারা তাদের প্রার্থীকে জয়ী করে নিয়ে এসেছে।'
আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এফএফ