ফয়জুল আল আমীন : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ নিয়ে রাজনীতিতে পানি ঘোলা কম হয়নি। এখনও ঘোলা হচ্ছে। যদিও সে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ হয়নি খালেদার। বরং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার দিনে ঘটা করে জন্মদিন পালন করে বিরোধী শিবির থেকে বারবার নিন্দিত হয়েছেন। এ নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের ঠেলাঠেলিতে বহুবার বিতর্কিত-ই হয়েছেন খালেদা জিয়া।
অবশ্য এবার বিতর্ক অন্য কারণে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সিম নিবন্ধন না করায় সরকার দলের পক্ষ থেকে ফের সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে অনেকেই মনে করছেন, নতুন এই বিতর্কের পেছনেও ‘জন্ম তারিখ রহস্য’ বিশেষ কারণ। সমালোচকদের মতে, সিম নিবন্ধন করতে গেলে নতুন করে জন্ম তারিখের বিষয়টি সামনে আসতে পারে। আর এ নিয়ে বিরোধীপক্ষ বিশেষ সুবিধা নিতে পারে। আর এ বিতর্ক এড়াতেই খালেদা জিয়া নিজ নামে সিম নিবন্ধন করেননি।
তবে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, জন্ম তারিখ বিতর্ক কোনো বিষয় নয়। তার (খালেদা) নিজ নামে সিম-ই নেই। তাই সিম না থাকলে তো নিবন্ধনের প্রয়োজন পড়ে না। অপর সূত্রমতে, সরকারের নজরদারি থাকার কারণেই হয়ত বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে কথা বলতে হয় তাকে। যে কারণে সিম নিবন্ধনের প্রয়োজন মনে করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে ছিল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের শেষ দিন। এরপর ৫ জুন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিজের নামে কোনো নিবন্ধিত মোবাইল সিম মেলেনি। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করলেও একটি বড় রাজনৈতিক দলের চেয়ারপারসন হিসেবে সিম নিবন্ধিত না করা দুঃখজনক। পরের দিন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিজ নামে কোনো সিম নেই। এ কারণেই নিবন্ধনের কোনো প্রয়োজন পড়েনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার সিম নিবন্ধন না করার বিষিয়টি গুরুত্ব পেয়েছে গণমাধ্যমগুলোতেও। সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, সমালোচনার পর ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এখন দেখার বিষয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী নিজ নামে সিম কেনেন কি না অথবা কিনলেও সেখানে কোন জন্ম তারিখটি প্রকাশ পায়। কেননা, গত কয়েক বছর ধরে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করে আসছেন। আর পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ৫ আগস্ট রয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।