রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪ ।। ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ ।। ১ মহর্‌রম ১৪৪৬


‘হাদীস শাস্ত্রে ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মাওলানা মাহফুয আহমদ ||

লেখালেখি ও বই প্রকাশের হাতেখড়ি হয়েছিলো ১৯২ পৃষ্ঠার এই বইয়ের মাধ্যমে। হাদীসশাস্ত্রে ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ। ১৪৩৪/২০১৩ সনে বইটি ছেপেছিলো সিলেটের নিউ মাদানিয়া কুতুবখানা। আমি তখন মাদরে ইলমী জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মাদরাসায় শ্রদ্ধাস্পদ উসতাযগণের তত্ত্বাবধানে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলাম।

উসতাযে মুহতারাম, শায়খুল হাদিস মুফতি খায়রুল ইসলাম সাহেব (বড়লেখি হুজুর) হাফিযাহুল্লাহ তাঁর মূল্যবান অভিমত লিখে দিয়ে বইয়ের মান বৃদ্ধি করেছেন। হুজুর সেখানে লিখেছেন, "সুতরাং নির্দ্বিধায় বলা যায়, এসব (ইমাম আবু হানীফার বিরুদ্ধে হাদীস না জানার অপবাদ) অপপ্রচার ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপ্রসূত। তরুণ লেখক, মাওলানা মাহফুয হাফিযাহুল্লাহ ইমাম আবু হানীফার পরিচিতি, জ্ঞান-গরিমা, ইলমে হাদীসে তাঁর পারদর্শিতা সবিস্তারে আলোচনা করেছেন। অপপ্রচারে সৃষ্ট সন্দেহ-সংশয় নিরসনে বহুল তথ্যের সমাহার ঘটিয়ে উপস্থাপিত বিষয়গুলো সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত করেছেন।"

জানি না, বইটি কেউ পড়েছেন কি না। বা পড়ে থাকলে আদৌও কেউ ইলমীভাবে উপকৃত হয়েছেন কি না। তবে এটি যেহেতু আমার প্রকাশিত সর্বপ্রথম বই; সেজন্য এর স্মৃতি অনেক মধুর এবং আশাজাগানিয়া। বইটি দেখে বাংলাদেশের প্রখ্যাত গবেষক আলেম, মাওলানা ড. আ ফ ম খালেদ হোসাইন সাহেব হাফিযাহুল্লাহ আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তাঁর সেই অনুপ্রেরণা আমি কখনো ভুলতে পারবো না। তিনি আরও বলেছিলেন, আমাদের জন্য এরকম ইতিবাচক কাজ বেশি বেশি করা দরকার।

এই বইয়ের সঙ্গে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি আছে আমার। বই মুদ্রিত হওয়ার পর প্রকাশকের পক্ষ থেকে আট হাজার টাকা হাদিয়া পেয়েছিলাম। সেই টাকা দিয়ে কী করতে পারি- কিছুটা চিন্তা করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, এটা দিয়ে একটা ল্যাপটপ কিনতে পারলে আগামীর ইলমী কাজগুলোর জন্য সহায়ক হবে। আব্বাজান শায়খুল হাদীস মাওলানা আউলিয়া হোসাইন সাহেব হাফিযাহুল্লাহ আমার অনুরোধ রক্ষা করলেন। আট হাজারের সঙ্গে তিনি আরও বাইশ হাজার মিলিয়ে মোট ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে সিলেট থেকে একটা নতুন ল্যাপটপ কিনে দিয়েছিলেন, আলহামদুলিল্লাহ। এখন তো প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ল্যাপটপ আমার হাতে কিন্তু সেই প্রথম ল্যাপটপের স্মৃতি ও তাৎপর্য কখনো ভুলবার নয়।

যেহেতু বইটি লেখার সময় আমার নিজের ল্যাপটপ ছিলো না সেজন্য বাইরে থেকে হাতের লেখাগুলো কম্পোজ করে নিতে হয়েছিলো। যিনি কম্পোজ করে দিয়েছিলেন সেই মাওলানা সুলতান মাহমুদ আর দুনিয়াতে নেই। আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিন এবং জান্নাত নসিব করুন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ