ফারুক ফেরদাউস , আলেম ও লেখক
তালাক সম্পর্কে কুরআনের এক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, “হয় তাদের স্ত্রী হিসেবে ভালোভাবে রেখে দেবে অথবা ভালোভাবে বিবাহবন্ধন থেকে মুক্ত করে দেবে।” (সূরা তালাক, আয়াত ২)
আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, “তালাক দুইবার, এরপর হয় স্ত্রীকে ভালোভাবে রাখবে অথবা সদয়ভাবে বিদায় দেবে।” (সূরা বাকারা, আয়াত : ২২৯)
আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, তোমরা পরস্পরের সম্পর্ক ও অনুগ্রহ ভুলে যেয়ো না। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। (সূরা বাকারা, আয়াত: ২৩৭)
এই আয়াতগুলোর নির্দেশনা হলো, বৈবাহিক সম্পর্কের শুরুটাই শুধু সুন্দরভাবে হবে তা নয়, বরং যদি বৈবাহিক সম্পর্ক ভালোভাবে না চলে, যদি তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ভালোভাবে থাকতে না পারে, তাহলে সম্পর্কের ইতিটাও যেন সুন্দর ও সদয়ভাবে হয় এবং বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরও যেন তারা তাদের একসময়ের সুন্দর সম্পর্ক ও অনুগ্রহের কথা ভুলে না যায়।
আমাদের সমাজে প্রত্যেকটা ডিভোর্সের আগে পরে পরস্পরের পরস্পরকে দোষারোপ, হা-হুতাশ, অসম্মানজনক অভিযোগ, গালিগালাজ, হামলা-মামলা ইত্যাদি নানা ঘটনা ঘটেই। বিচ্ছিন্ন হলেও অপরজনকে ভালো থাকতে না দেওয়ার একটা মানসিকতা ও প্রবণতা কাজ করে অনেকের মধ্যে -এগুলো দুঃখজনক এবং ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত।
লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া
এমআর/