রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬


‘দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়’ প্রস্তাবে একমত জামায়াত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়ার বিষয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আমরা ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল এখানে এসেছি। দীর্ঘ সময় আলোচনার পরও আমাদের আলোচনা অসমাপ্ত রয়েছে। বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ তাই আমরা তাড়াহুড়ো করছি না। আজকের আলোচনায় আমরা কিছু বিষয়ে একমত হয়েছি, কিছু বিষয়ে নিজেদের প্রস্তাব দিয়েছি এবং কিছু বিষয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। সেজন্য সেগুলো আমরা পরের আলোচনার জন্য রেখেছি।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না, অর্থাৎ ১০ বছরের বেশি নয়। এ প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি।

তিনি বলেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে কিছু সংশোধনের প্রস্তাবের সঙ্গেও আমরা একমত হয়েছি। প্রস্তাব হলো, সংবিধান পরিবর্তন, বাজেট অনুমোদন এবং আস্থা ভোট ছাড়া অন্য বিষয়ে সংসদ সদস্যরা যে কোনো দল ও মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারেন।

জাতীয় সংবিধান কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাব নিয়েও নীতিগত একমত হয়েছে জামায়াত। ডা. তাহের জানান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে এনসিসির সদস্য করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে জামায়াত। তাদের মতে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করায় এই দুজনকে কমিশনে না রাখাই উত্তম হবে।

ডা. তাহের বলেন, নির্বাচনে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালুর প্রস্তাবও আমরা দিয়েছি। এতে সারাদেশে একসঙ্গে নির্বাচন হবে মার্কা বা দলের ভিত্তিতে৷ যে দল যে পরিমাণ ভোট পাবে, সেই পরিমাণে সংসদে আসন নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশে নির্বাচনে যে দুর্নীতি, জবরদখল হচ্ছে এবং ভোটবিহীন নির্বাচনের যে ফলাফল হচ্ছে এটি তখন বন্ধ হয়ে যাবে। টাকার খেলাও বন্ধ হয়ে যাবে৷ এটা পৃথিবীর ৬০টির বেশি দেশে চর্চা হচ্ছে৷ দুএকটি প্রশ্ন ছাড়া এটা মোটামুটিভাবে কার্যকর বলে প্রমাণিত। গত তিন মেয়াদের নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, এর থেকে উত্তরণ ঘটাতে পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উত্তম হবে এবং অনেক ঝামেলা থেকে আমরা পরিত্রাণ পাবো।

তিনি জানান, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রস্তাবেও জামায়াত নীতিগতভাবে একমত হয়েছে, যাতে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। 

বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এবং বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ