জুবায়ের রশীদ
হেফাজতে ইসলাম এখনো কওমির প্রধান শক্তি। গত ৫০ বছরে হেফাজতের সমকক্ষ বা কাছাকাছি কোনো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দল কওমি ঘরানায় তৈরি হয়নি। হেফাজত ছাড়া কওমিদের এমন দ্বিতীয় আর কোনো ব্যাপক ও প্রভাবশালী সংগঠন নাই, যা দেশের আপামর জনতা, প্রশাসন ও মিডিয়া সর্বত্র আলোচনার জন্ম দিতে পারে।
৫ আগস্টের পর থেকে হেফাজত যেভাবে পরিচালিত হয়েছে, তা দেখে হেফাজত নিয়ে স্বপ্ন দেখা সকলেই কমবেশি ব্যথিত। হেফাজত নিয়ে এখন যে সমালোচনা হচ্ছে তা অবধারিতই ছিল এবং বর্তমান নেতৃবৃন্দের তা প্রাপ্য।
তবে হেফাজতের সমালোচনা যারা করছেন আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, সমালোচনার পাশাপাশি হেফাজত কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে এবং এখনো কীভাবে ১৩ সালের শাপলার জোয়ার ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে তার গঠনমূলক আলোচনা করুন, প্রস্তাবনা দিন। হেফাজতকে কতিপয় নেতার ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থ থেকে মুক্ত যেমন করতে হবে, তেমনি হেফাজতকে শক্তিশালী করে টিকিয়েও রাখতে হবে।
হেফাজতকে দরকার আছে। আলোচিত নারী কমিশনের ইস্যুতে হেফাজত যে ভূমিকা রাখতে পারবে, তা এদেশে আর কেউ পারবে না। এদেশে ইসলাম ও কওমির স্বার্থে হেফাজতকে সময়ে সময়ে আপনার লাগবে। এর গুরুত্ব দুই-তিনটা এমপি আসনের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। কথাটি হেফাজতের বর্তমান নেতৃবৃন্দও যেন সমান উপলব্ধি করে।
সারাদেশে হাজার হাজার কওমি মাদরাসা আছে, লক্ষ লক্ষ ছাত্র-শিক্ষক আছে, অগণিত অনুসারী আছে, হিতাকাঙ্ক্ষী আছে। সবাইকে এক সুতোয় এক শক্তিতে বেঁধে রাখার নাম হেফাজত। এর বেহাত হলে সবাইকে পস্তাতে হবে। ধরে রাখতে পারলে সুফল হবে সর্বব্যাপী।
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও মাদরাসা শিক্ষক
এমএইচ/