পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এতদিন ভিসা ইস্যু করার আগে পাকিস্তানের মিশন প্রধানদের জন্য ঢাকা থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, যা বর্তমান সরকার বাতিল করেছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের লাহোরে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এলসিসিআই) ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ তথ্য জানান পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'
হাইকমিশনার আরও জানান, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে আগ্রহী। গত এক দশকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সন্তোষজনক না থাকলেও ভবিষ্যতে তা উন্নত করার প্রচেষ্টা চালানো হবে।
ইকবাল হুসাইন বলেন, 'বাংলাদেশ, যার জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি, পাকিস্তানের জন্য একটি বিশাল ভোক্তা বাজার হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে এই সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়নি। দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করাই এখন মূল লক্ষ্য।'
এলসিসিআই সভাপতি মিয়া আবুজার শাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশে পাকিস্তানের রপ্তানি ছিল ৬৬১ মিলিয়ন ডলার এবং বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে আমদানি ৫৭ মিলিয়ন ডলার।
২০২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) পাকিস্তানের বাংলাদেশে রপ্তানি বেড়ে ৩১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে আমদানি হয়েছে মাত্র ৩১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
হাইকমিশনার আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, 'বর্তমান প্রজন্মের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি এবং পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা দূর করা উভয় দেশের দায়িত্ব।'
কেএল/