ইসলামী সঙ্গীতের গীতিকার আবদুল কাদির হাওলাদার ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) আনুমানিক সকাল ৭টায় কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
জানা যায়, কিছুদিন আগে তৃতীয় বারের মতো হার্ট স্ট্রোক হয় গীতিকার আবদুল কাদির হাওলাদারের। তারপর তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
গীতিকার আবদুল কাদির হাওলাদার ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবসহ বিভিন্ন শিল্পিগোষ্ঠীর সাথে কাজ করেছেন।
গীতিকার আবদুল কাদির হাওলাদারের জানাযার নামাজ আজ মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) আছরের নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
‘বাড়িওয়ালা নাইরে বাড়ি নাইরে দুনিয়াতে, ‘কত জানাযার পড়েছি নামাজ’-সহ অনেক জনপ্রিয় ইসলামী সঙ্গীতের লেখক তিনি।
আব্দুল কাদির হাওলাদারের ইন্তেকালের গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন কওমি পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি ও রাজধানীর গুলিস্তান পীর ইয়ামেনি জামে মসজিদের খতিব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী।
তিনি শোকবার্তায় বলেন,আব্দুল কাদির হাওলাদার ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ও পরিচয় প্রায় ৭/৮ বছর আগে থেকে। প্রায়ই পল্টনে দেখা হতো। কথা হতো। একসাথে অসংখ্যবার চা খেয়েছি। নাস্তা করেছি। এখন সবই স্মৃতি। মহান রব তাকে জান্নাতের বাসিন্দা হিসেবে কবুল করেন। চলতি বই মেলায় বারবার দেখা হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
এইতো সেদিনের ঘটনা। মাসিক মদিনা পাবলিকেশন সামনে মদিনার সম্পাদক ড. আহমদ বদরুদ্দীন খান ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম। আব্দুল কাদির হাওলাদার ভাইও আসলেন। সবার সামনে জোরে বললেন, অনেকের সাথে আমার ছবি আছে, খতিব সাহেবের সাথে তো আমার কোন ছবি নাই। পল্টন কেন্দ্রিক যারা আমাকে চিনেন অনেকেই আমাকে খতিব সাহেব সম্বোধন করেন। তিনিও আমাকে খতিব সাহেব হিসেবেই ডাকতেন।
তখন মাসিক মদিনা সম্পাদক আহমদ ভাই বললেন, শুধু খতিব সাহেবের সাথে কেন? আমরা যারা আছি সবার সাথে ছবি উঠান।
তিনি আমাদেরকে রেখে চলে যাবেন এত তাড়াতাড়ি ভাবেনি।
তিনি মরহুমের ইন্তেকালে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
কেএল/