আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশিদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ভিসা জটিলতা নিরসন হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি। গত সোমবার রাতে দুবাইয়ে সাংবাদিক ও কূটনীতিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রদূত হামুদি বলেন, আমিরাতে বর্তমানে বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের ভিসা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের ভিসা কোনো রাজনৈতিক ইস্যুতে বন্ধ হয়নি। আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ভিসা জটিলতা দূর হতে পারে। তিনি বলেন, আমিরাতে বাংলাদেশির সংখ্যা ৭ থেকে ৮ লাখের মধ্যে ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যেটা অন্য দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ।
অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন হামুদি। এর আগে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধের বিষয়টি তাঁর নজরে আনেন। ইউএই বাংলাদেশ কমিউনিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ায় ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থান পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশিরা আর কোনো ফ্যাসিস্টের উত্থান চায় না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সমমর্যাদা ও সমতার সম্পর্ক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই চেষ্টা করছে।
ড. ইউনূস প্রসঙ্গে আনসারী বলেন, তিনি এমন এক ব্যক্তি, পৃথিবীব্যাপী তাঁর প্রতি মানুষের সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ আকাশচুম্বী। পৃথিবীর যে কোনো রাষ্ট্রপ্রধান তাঁর অনুরোধ ফেলতে পারেন না। আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধানও তাঁর অনুরোধ ফেলতে পারেননি।
বাংলাদেশ সমিতির আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে মামুনুর রশীদ ও শাহেদ আহমেদ রাসেলের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল আশফাক হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসাইন।
এনএ/