বিন ইয়ামিন, বিশেষ প্রতিনিধি
কাতারে অনুষ্ঠিত পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতা 'মুসাবাকা জাসেম বিন মুহাম্মদ আল সানি‘র ২৯তম অধিবেশনে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ কারী হেদায়েত উল্লাহ।
স্থানীয় সময় গত বুধবার ( ৪ ডিসেম্বর ) বিকেলে লুসাইলের রিটজ কার্টলন হোটেলে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকারী হিসেবে হাফেজ হেদায়েত উল্লাহ বিন হেমায়েত উল্লাহর নাম ঘোষণা করা হয়।
বিষয়টি আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন হাফেজ হেদায়েত উল্লাহর চাচাতো ভাই হাফেজ আহমাদ উল্লাহ।
তিনি জানান, কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জান করায় কাতারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী সাইয়েদ গানেম বিন শাহীন আল-গানিমের হাতে থেকে সম্মাননা পুরষ্কার গ্রহণ করেছে হাফেজ হেদায়েত উল্লাহ। পুরষ্কার হিসেবে তাকে সত্তর হাজার কুয়েতি দিনার প্রদান করা হয়। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
কাতারে অবস্থানরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুই সহস্রাধিক প্রতিযোগিকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের জন্য এই গৌরব বয়ে এনেছেন তিনি।
এর আগেও একাধিকবার ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরষ্কার ও সুনাম বয়ে এনেছেন তিনি। কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই প্রতিযোগিতায় আরও অংশগ্রহণ করে তৃতীয় গ্রুপ উমুমুল হুফফাজে প্রথম হয়েছেন ঢাকার কেরানীঞ্জ থানার কলমার চর গ্রামের মরহুম হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ এনামুল হাসান, দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের আবু দোজানা মোহাম্মদ ঈসা ইবরাহিম।
জানা যায়, হাফেজ হেদায়েত উল্লাহ কাতারে অবস্থিত মারকাজুল ফুরকানে পিতা হাফেজ কারী হেমায়েত উল্লাহর নিকট হেফজ সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছেন।
উল্লেখ্য, আধুনিক কাতারের স্থপতি শায়খ জাছিম বিন মোহাম্মদ বিন ছানির নামে দেশটিতে প্রতিবছর সরকারিভাবে জাতীয় পবিত্র কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বছর ছিল এ প্রতিযোগিতার ২৯তম আসর।
প্রতিবছরের মতো এবারও মোট তিনটি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম গ্রুপ- আল মুআতিনুন। এখানে শুধু কাতারিরা অংশ নেন। দ্বিতীয় গ্রুপ- খাওয়াচ্ছুল হুফফাজ। যেসব হাফেজ কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি করেন, তারা এটিতে অংশ নেন। আর যারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনের বাইরে চাকরি করেন, তাদের জন্য নির্ধারিত গ্রুপটি হলো- উমুমুল হুফফাজ।
এনএ/