সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

কিশোর বয়সে অত্যধিক চুল পড়ে যে কারণে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মানুষের শারীরিক কার্যক্রম অনুযায়ী চুল পড়া খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। প্রতিদিনই মানুষের মাথায় কিছৃ নতুন চুল গজায় এবং মাথা থেকে কিছু চুল পড়ে যায়। তবে যখন এই চুর পড়ার অনুপাত চুল গজানোর চেয়ে অনেক বেশি হয়, তবে তা আশঙ্কাজনক।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারী ও পুরুষ সকলেরই চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে কম বয়সে, বিশেষ করে কৈশরে চুল পড়ার লক্ষণ ভালো নয়। এমনকি এইসময় অতিরিক্ত চুল ঝরে যাওয়া কিশোর-কিশোরীর ব্যক্তিত্বেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ভারতীয় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ রিংকি কাপুর বলেন,‘বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো কিশোর বয়সেও চুল পড়ার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এই সমস্যার প্রাথমিক কারণ হিসেবে পরিবেশগত কারণ এবং হরমোন পরিবর্তনকে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই সমস্যা বাড়তে থাকলে খুব শিগগিরই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথা, কিশোরদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি হওয়ার মতো অন্যান্য আরও সমস্যা দেখা যায়।’

চিকিৎসক রিংকি এইসব সমস্যা হওয়ার আরও কিছু কারণ বর্ণনা করেন:

১. বংশগতি: চুলের রঙ, দৈর্ঘ্যের মতো চুল পড়ার ক্ষেত্রেও মানুষের জিন বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। পরিবারের সদস্য বা পূর্বপুরুষদের চুল ঝরার সমস্যা থাকলে, হতে পারে কিশোরদের মধ্যেও সেই সমস্যা দেখা যায়।

২. থাইরয়েড: থাইরয়েড হরমোনটির প্রভাব চুল পড়ার ক্ষেত্রেও থাকতে পারে। সাধারণত এই অঙ্গ খাবার পরিপাকের ভূমিকা রাখে। তবে থাইরয়েড নিঃসরণের তারতম্যের কারণে অর্থাৎ, স্বাভাবিকের চেয়ে কম অথবা বেশি নিঃসরণের কারণে যথাক্রমে হাইপার থাইরয়েড এবং হাইপো থাইরয়েডের সমস্যা দেখা যায়। কারণ থাইরয়েডের ভারসাম্য রক্ষা না হওয়ার চুল বৃদ্ধি এবং নতুন চুল গজানোয় বাধাপ্রাপ্ত হয়।

৩. পুষ্টিহীনতা: আমাদের খাওয়া খাবারই আমাদের সম্পূর্ণ দেহকে পরিচালিত করে। খাবারে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার ও জিংক, আয়রনের মতো খনিজ উপাদান সুন্দর চুলের জন্য অপরিহার্য। খাদ্যাভাসে পুষ্টির অভাব কৈশরে চুল পড়ার কারণ হতে পারে।

৪. টেলোজেন এফ্লুভিয়াম: অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলেও কিশোর বয়সে টেলোজেন এফ্লুভিয়াম রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই সমস্যার কারণে কিশোরদেরও চুল ঝরার সমস্যা দেখা যেতে পারে।

৫. চুল বাধা: টিনএজ শুরু হওয়ার পর সাধারণ ভাবেই মানুষের নানারকম পরিবর্তন আসে। অনেকে এইসময় নিজেদের চুলের উপর নানারকম স্টাইল করতে পছন্দ করে। পরীক্ষামূলকভাবে চুলে নানারকম রাসায়নিক পদার্থসম্পন্ন হেয়ারকালার বা প্রসাধনী ব্যবহার করে, স্ট্রেটনার ও ড্রায়ার ব্যবহার ছাড়াও শক্ত করে চুল বাধে। চুলের প্রতি প্রতিনিয়ত এরকম স্টাইল করার ফলে চুল এবং গোড়া দুটোই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এটাও চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এনএ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ