শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন ‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’ সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হলেন মুন্সিগঞ্জের নিরব ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু বাজারে এলো ইনফিনিক্সের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন

বর্ষায় ঘর জীবাণুমুক্ত রাখার সহজ উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বৃষ্টির এই সময়ে চারদিকে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। ঘরের নানা জায়গায় ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে এই সময়ে। আর এমন পরিবেশে জীবাণু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াও স্বাভাবিক। এর ফলে নানারকম ঋতুভিত্তিক অসুখবিসুখ দেখা দিচ্ছে।তাই এই ঋতুতে সুস্থ থাকার জন্য আমাদের ঘরবাড়ি পরিষ্কারের সময় জীবাণুমুক্তকরনের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

১. বাইরে থেকে এসেই গোসল

বাইরে থেকে ঘরে আসার আগে অবশ্যই হাত-পা ধুয়ে নিন। তবে শহুরে অধিকাংশ বাড়িতে সেই সুযোগ থাকে না। তাই বাইরে থেকে এসে সোজা বাথরুমে যান। দরজার কাছেই ঘরে পরার স্যান্ডেল রাখুন যাতে মেঝেতে পাড়া দেওয়ার মাধ্যমে জীবাণু না ছড়ায়। বাইরে থেকে ফিরে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারলে ভালো। আর গোসলের সময় না থাকলে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত-পা ধুয়ে ফেলুন। একইসঙ্গে বাইরে থেকে আনা ব্যাগ আলাদা স্থানে রাখুন অথবা দ্রুত জীবাণুমুক্ত করে ফেলুন।

২. রোজ কাপড় ধুতে হবে

আমরা অনেকসময় আলসেমি করে প্রতিদিনের কাপড় না ধুয়ে জমা করে একবারে ধুই। কিন্তু এই ঋতুতে কাপড় জমতে দেওয়া ঠিক হবে না। বিশেষ করে ভেজা কাপড়। বাইরে থেকে বৃষ্টিতে ভিজে এসে সেই কাপড় কখনোই জমিয়ে রাখবেন না, এতে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে চর্মরোগ। কাপড় আলমারি বা ওয়ার্ডরোবে ওঠানোর আগে ভালো করে শুকিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হন।

৩. ঘন ঘন জুতা পরিষ্কার করুন

এই ঋতুতে চামড়ার পরিবর্তে অন্য ম্যাটেরিয়ালের তৈরি জুতা ব্যবহার করুন যা ভিজে গেলেও দ্রুত শুকিয়ে যায়। আর যে জুতা পরে বাইরে যাচ্ছেন, তা ঘন ঘন পরিষ্কার করুন। বাইরে থেকে কাদা ও পানিতে ভেজা জুতা জীবাণুর দারুণ আবাসস্থল। তাই সুস্থ থাকতে শুকনা জুতা ব্যবহার করুন। জুতা শুকাতে খবরের কাগজ ব্যবহার করতে পারেন। এটি দ্রুত পানি শোষণ করে। আর যেসব জুতা ধোয়া যায় সেগুলো সপ্তাহে বা পনেরো দিনে একবার সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪. রান্নাঘর আর বাথরুম শুকনা রাখুন

আমরা অনেকেই ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখলেও বাথরুম আর রান্নাঘর পরিষ্কার ও শুকনা রাখার বিষয়টি অতটা গুরুত্ব দেই না। অথচ এখানেই সবচেয়ে বেশি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থাকে। এদিকে আমাদের দেশিয় রান্নাবান্নায় রান্নাঘর ময়লা বেশি হয়, ভেজেও বেশি। বাইরে থেকে বাজার এনে আমরা এখানেই ঢালি। তাই এখানে জীবাণু থাকা স্বাভাবিক। প্রতিদিন রান্নাঘর ভালো করে মুছে ফেলুন। মেঝেই শুধু নয়, বেসিন, চুলা, চুলার চারপাশ, কিচেন কাউন্টার ইত্যাদি জীবাণুদূরকারী তরল মিশিয়ে মুছে নিন। একই পদ্ধতিতে প্রতিদিন বাথরুমের মেঝে, টয়লেট সিট, বেসিন, তোয়ালের স্ট্যান্ড, দেওয়াল ও আয়না মুছে শুকনো রাখুন।

৫. পেস্ট কন্ট্রোল

সম্ভব হলে বর্ষায় একবার পুরো বাড়ির পেস্ট কন্ট্রোল করুন। জীবাণুনাশক ব্যবহার করে পুরো বাড়ির জীবাণু ও পোকামাকড় দূর করাই হল পেস্ট কন্ট্রোল। নিজেরাই করতে পারেন বা বিভিন্ন ভাড়াটে প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিতে পারেন এই কাজে। বছরে একবার পেস্ট কন্ট্রোল করা ভালো, এতে ইঁদুর-তেলাপোকার উৎপাত কমার পাশাপাশি মশা-মাছির উপদ্রবও কমে অনেকটাই।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ