শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন ‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’ সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হলেন মুন্সিগঞ্জের নিরব ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু বাজারে এলো ইনফিনিক্সের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন

বন্যায় খাওয়ার পানি বিশুদ্ধ করবেন যেভাবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

বন্যার পানি সাধারণত ময়লা ও দূষিত হয়। এ সময় অনেকেই দৈনন্দিন কাজে অনিরাপদ পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হন। আকস্মিক বন্যায় ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি জেলা। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। এ সকল এলাকায় ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান, ময়লা-আবর্জনা, ব্যাকটেরিয়া পানির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট। তাই এই সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ করার বিষয়টি অতি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী উপায়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়-

ফুটানোঃ পানি বিশুদ্ধ করার সবচেয়ে পুরনো ও কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে ফুটানো। তবে পানি ফুটানো নিয়ে রয়েছে অনেক ভুল ধারণা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পানি ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় ৫-২৫ মিনিট ধরে ফুটানো হলে এর মধ্যে থাকা জীবাণু, লার্ভাসহ সবই ধ্বংস হয়ে যায়। তারপর সেই পানি ঠাণ্ডা করে ছাঁকনি দিয়ে ছেকে পরিষ্কার পাত্রে ঢেকে সংরক্ষণ করতে হবে। পানি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের পাত্রের পরিবর্তে কাচ অথবা স্টিলের পাত্র ব্যাবহার করা উত্তম। তবে ফুটানো পানি বেশিদিন রেখে দিলে তাতে জীবাণু আক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে।

ফিল্টার বা ছাঁকন পদ্ধতিঃ পানি বিশুদ্ধ করার আরও একটি জনপ্রিয় উপায় হলো ছাঁকনি পদ্ধতি। পানি ফুটানোর মাধ্যমে ক্ষতিকর জীবাণু দূর করা সম্ভব হলেও পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত থাকতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্য ছাঁকনি পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর। বর্তমান সময়ে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফিল্টার পাওয়া যায়। যার মধ্যে একটি সিরামিক ফিল্টার এবং দ্বিতীয়টি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত রিভার অসমোসিস ফিল্টার। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ সিরামিক ফিল্টার ব্যবহার করেন।

ব্লিচিং পাউডার বা ক্লোরিন ট্যাবলেটঃ বন্যাদূর্গত এলাকায় সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে পানি পরিশোধন করা। এই ট্যাবলেট জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। বাজারে ক্লোরিন ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে খুব সহজে অল্প সময়ে বেশি পানি বিশুদ্ধ করা যায়। একটি ট্যাবলেট দিয়ে ৩ লিটার পানি বিশুদ্ধ করা যায়। ব্লিচিং পাউডার ১০ লিটার পানির মধ্যে দিতে হয় এবং ৩০ মিনিট পর ওপরের পানি আরেকটি পাত্রে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে হয়।

সৌর পদ্ধতিঃ যে সকল জায়গায় পানি পরিশোধিত করার অন্য কোনো উপায় নেই সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। তীব্র সূর্যের আলোতে পানি ৬ ঘণ্টা রেখে দিলে পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়। এতে পানিতে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়।

পটাশ বা ফিটকিরিঃ এ পদ্ধতিতে বড় একটি পাত্রে পানি নিয়ে সেখানে পরিমাণ মতো ফিটকিরি মিশিয়ে ২-৩ ঘন্টা রেখে দিলে ভেতরে থাকা ময়লাগুলো তলানিতে পড়ে যায়।

আয়োডিনের মাধ্যমেঃ ১ লিটার পানিতে ২% আয়োডিন দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করা যায়। অথবা আয়োডিনের ট্যাবলেট ১ লিটার পানিতে ২টি বা ঘোলা পানি হলে ৩টি দিয়ে বিশুদ্ধ করা যায়। তবে এই পদ্ধতি দক্ষ মানুষ ছাড়া করা যাবে না। কারণ, আয়োডিনের মাত্রা ঠিক না থাকলে পানি বিশুদ্ধ হবে না। আয়োডিন পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ করা পানি একটানা ৩ সপ্তাহের বেশি সেবন করা যাবে না। কারণ, এতে থাইরয়েডজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অতিবেগুনি রশ্মিঃ পানি জীবাণুমুক্ত করার জন্য এটি একটি কার্যকরী পদ্ধতি। এতে করে পানির সব ধরণের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। বর্তমানে বাজারের বেশ কয়েকটি আধুনিক ফিল্টারে এই আল্ট্রাভায়োলেট ( অতিবেগুনি ) পিউরিফিকেশন প্রযুক্তি রয়েছে। তবে এ উপায়টি অনেক ব্যয়বহুল।

বিনু/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ