শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন ‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’ সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হলেন মুন্সিগঞ্জের নিরব ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু বাজারে এলো ইনফিনিক্সের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন

গরমে যে সব খাবার কম খাবেন


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
প্রতীকি ছবি

বাংলাদেশে এই মুহূর্তে চলছে গ্রীষ্মের খরতাপ, স্বাভাবিকভাবেই জনজীবনে চলছে হাসফাঁস অবস্থা। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদেরা এ সময়ে সুস্থ থাকার জন্য নানা পরামর্শ দেন। কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গরম অনুভূত হতে পারে। পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম তেমনই কিছু খাবার সম্বন্ধে জানিয়েছেন।

আইসক্রিম ও কোমল পানীয়: অনেকে মনে করেন, আইসক্রিম ও ঠাণ্ডা বোতলজাত কোমল পানীয় খেলে গরম কম লাগবে। কিন্তু এগুলো খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্যই আইসক্রিম কিংবা কোমল পানীয় খাওয়ার পরপর তৃষ্ণার্ত বোধ করে মানুষ।

চা-কফি: শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য অনেকে চা-কফি পান করেন। তাহলে যে চা-কফি শীতকালে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে, তা নিশ্চয়ই গরমকালেও একই ভূমিকা পালন করবে। তাই, গরমকালে অতিরিক্ত চা-কফি পান করা উচিৎ নয়। কারণ চা বা কফির ক্যাফেইন দেহকে পানিশূন্য করে ফেলে এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

দুগ্ধজাতীয় খাবার: গরমকালে দুধ জাতীয় খাবার, যেমন মেয়োনেজ বা বিভিন্ন শেক খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ গরমের সময় এ জাতীয় খাবারে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত হয়।

ডিম: শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর অন্যতম মাধ্যম ডিম। কিন্তু গরমের সময় ডিম খেলে অনেকের সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, কিংবা উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাহলে তারা চাইলে ডিম এড়িয়ে চলতে পারে। ডিমের পরিবর্তে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে তারা তাদের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত মাছ কিংবা মুরগির মাংস রাখতে পারেন।

মশলাজাতীয় খাবার: দেশের অধিকাংশ মানুষ মশলা জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করলেও গরমের সময় ‘ভুনা মাছ বা মাংস’ খাওয়া এড়াতে হবে। কারণ এ ধরণের খাবার হজম করতে বেশি সময় লাগে। শরীরে বিপাক প্রক্রিয়া যদি বেশি সময় ধরে চলে, তখন গরম লাগতে শুরু করে।

ফাস্টফুড: ফাস্টফুড নিয়ে বছরের পর বছর ধরে বহু আলোচনা-সমালোচনা চললেও মানুষ বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন, পিৎজা ইত্যাদি হরহামেশা খাচ্ছে। কিন্তু গরমের সময়ে তো বটেও, সাধারণ সময়ে এগুলো খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ শর্করা ও চর্বি থাকায় হজম করতে সময় লাগে। ফলে, এগুলো রক্তচাপকে প্রভাবিত করে, প্রদাহ বাড়ায়।

তেল-চর্বি জাতীয় খাবার: গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, খাসির মাংস কার না পছন্দ? কিন্তু গরমের সময় এগুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে। সেইসাথেত।সুস্থ থাকার জন্য পোলাও, বিরিয়ানি, তেহারি ইত্যাদি তেলযুক্ত খাবারকেও না বলা উচিৎ।

অতিরিক্ত চিনি ও লবণ: চিনি ও লবণ, এ দু’টো জিনিস এমনিতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু গরমের সময় সেই ক্ষতির মাত্রাটা আরও বেশি হয়ে দাঁড়ায়। এসময় অতিরিক্ত চিনি ও লবণ খেলে শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। তাই, গরমে প্যাকেট জাতীয় খাবার বা প্রসেসড ফুড খাওয়া একদমই উচিৎ না।

টিএইচএ/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ