প্রকৃতির চক্রাবর্তনে শীতের প্রকোপ শিথিল হয়ে এসেছে। ভর করতে শুরু করেছে বসন্তের কোমলতা। পরিবেশে বিরাজ করতে শুরু করেছে প্রশান্তির বাতাস। ঋতুর পরিবর্তনের সাথে-সাথে বসন্তে আমাদের জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
সাধারণত মৌসুম পরিবর্তন হওয়ার সময় রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে শরীরের খাপ খাইয়ে নেবার জন্য শরীরেরও কিছু অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন দরকার। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বসন্তের সময় কিছু খাদ্যাভ্যাস বদলানো স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
সুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং নিউট্রেশনিস্টগণ কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এসব বসন্তের সময় শরীরের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে সহযোগী হতে পারে। যেমন-
সবুজ শাক: শাক একটি অত্যন্ত উপকারী ফাইবার জাতীয় খাবার। যাতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। বসন্তের সময় নাইট্রেট সমৃদ্ধ সবুজ রঙের শাকসবজি খাওয়া উচিত। কারণ, সবুজ শাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি ব্যথা কমানোর ক্ষমতাও রয়েছে। যেমন- পালং শাক, কালে এবং সুইস চার্ড। এসব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয়।
টক ফল: যেকোনো ঋতুতেই মৌসুমি ফল খাওয়া উচিত। এতে সেসব খাবারের যথাযথ স্বাদ ও পুষ্টি লাভ করা সম্ভব। এর ফলে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সুস্থ এবং রোগমুক্ত থাকা সহজ হয়। কমলালেবু, লেবু এবং জাম্বুরা স্বাদে ভিন্নতা আনে। ‘ভিটামিন সি’ রুচি বৃদ্ধি করা ছাড়াও; রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
বেরি: তাজা বেরি খুবই রসালো এবং সুস্বাদু খাবার। ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং রাস্পবেরি সহ বেরি জাতীয় ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। বসন্তে বেরি খাওয়ার ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়। তাছাড়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তো সাহায্য করেই।
আদা: মশলা সাধারণত সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পটু হয়। তাছাড়া প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদা ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত।
রসুন: রসুন তীক্ষ্ণ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একটি উপাদান। রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে বেশ কার্যকর রসুন। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিনু/