সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

অফিসে মানসিক চাপ যেভাবে কমাবেন


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

।।তানবিরুল হক আবিদ।।

কাজ, কাজ, কাজ করেই তো সপ্তাহের পাঁচ থেকে ছয় দিন অফিসে ব্যস্ত থাকতে হয়। নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মানসিক চাপ যেন আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে গেছে। হাজারো চাপ মাথায় নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হয়। অফিসে রুটিন মাফিক ডিউটি, পারিবারিক কাজ, ব্যক্তিগত জীবন- সব মিলিয়েই সারা দিনের নানা সমস্যা আমাদের মনের অনেকটা জুড়ে থাকে। যে কারণে তৈরি হয় দুশ্চিন্তা। আর বেশি দুশ্চিন্তায় মানসিক হতাশায় ভুগতে থাকি আমরা। মানসিক হতাশায় অফিস-পরিবার—দুই জগতেই আমরা বাধিয়ে ফেলি ভজকট।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুমান করে যে, কর্মক্ষেত্রে উদ্বেগ এবং চাপ প্রতি বছর কমপক্ষে এক ট্রিলিয়ন উৎপাদনশীলতা হারায়।

মানসিক সমস্যা বোঝার উপায়

কোনো অফিস কর্মীর আচরণ ও ব্যবহারে হঠাৎ কোনো পরিবর্তন এলে তা মানসিক কোনো রোগের কারণে হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে-

হঠাৎ কেউ চুপচাপ হয়ে গেলে বা কথা বলা কমিয়ে দিলে, অফিসে আসা ও যাওয়ার সময়সূচি মেনে না চললে, নিজের কাজ যথাসময়ে সম্পাদন করতে না পারলে, সহকর্মীদের সঙ্গে চেচামেচি বা উত্তেজিত আচরণ করলে, কোনো কাজে মনোযোগ দিতে না পারলে, হতাশা বা মৃত্যুর কথা সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করলে, পোশাক-পরিচ্ছেদ অগোছালো থাকলে-এগুলো কোনো ধরনের মানসিক সমস্যার জন্য হতে পারে। 

জেনে নিন কিভাবে শত কাজের মাঝে মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন।

 ১.মেডিটেশন :
 প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে বা ঘুমোতে যাওয়ার আগে মেডিটেশন করুন। ধ্যান বা মেডিটেশন মনঃসংযোগ বাড়ায়, সহজেই কমে কাজের চাপ। চিকিৎসকদের মতে, রোজ মেডিটেশনে অভ্যস্ত হলে মন শান্ত থাকে। সহজে উত্তেজিত হওয়ার প্রবণতাও কমে।

২. সঠিক পরিকল্পনা:
সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে দিন শুরু করুন। কাজ শুরু করার আগে জেনে নিন, সেটি সম্পর্কে ধারণা নিন। পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করলে আপনার সময় বেঁচে যাবে। সেই সঙ্গে গোছানো ও সুন্দরভাবে কাজটি শেষ করতে পারবেন। এতে আপনি মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকবেন।

৩. সময় ব্যবস্থাপনা:
যথাযথ সময়ে কাজ শুরু এবং শেষ না করার কারণে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এতে ঠিকঠাক মতো কাজটি শেষও হয় না। ফলে মানসিক চাপে থাকেন আপনি। অতএব চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট সময় অনুসারে কাজ শুরু ও শেষ করতে।

৪. সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক:
অবশ্যই আপনি সহকর্মীদের সঙ্গে নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখবেন। সহকর্মী হিসেবেই তাদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক। কিন্তু অফিসে তাদের সঙ্গে আন্তরিক সুসম্পর্ক থাকা উচিত। অনেক কাজেই তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। সহকর্মীদের সহায়তায় আপনার কাজটি যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়।

৫. সাময়িক বিরতি:
 মাঝেমধ্যে কাজের বিরতিতে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। পরিবারের সঙ্গে কর্মবিরতি উপভোগ করুন। এতে মন প্রফুল্ল থাকে আর কাজেও মন বসে।

৬.আঁকিবুকি:
 আঁকাআঁকির শখ থাকলে কাজের ফাঁকে সামান্য সময় পেলেই আঁকিবুঁকি করুন। তাতে মনের চাপ যেমন কমবে, তেমনই পুরনো শখও ঝালিয়ে নিতে পারবেন। মনোবিদদের মতে, কম্পিউটারের যুগে কাগজ-কলমের সান্নিধ্য এমনিতেই মন-মেজাজ হালকা রাখে। তাই মানসিক চাপ কমাতে মন বসান এতে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ