যুদ্ধ কবলিত গাজা উপত্যকার বেসামরিক লোকজনকে খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণ সরবরাহ করতে রাজি থাকলেও সেখানকার বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত নয় মিসর। বুধবার রাজধানী কায়রোতে এক বৈঠকে এই ইস্যুতে নিজ দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি।
প্রসঙ্গত, মিসরের সিনাই উপদ্বীপের সঙ্গে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে গাজা উপত্যকার। ‘রাফাহ ক্রসিং’ নামে পরিচিত এই সীমান্ত ও তার আশপাশের এলাকায় মঙ্গলবার ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর। তারপর থেকে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজা ও মিসরের কর্মকর্তারা।
৮ অক্টোবর শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) যুদ্ধ বাঁধার পর গাজা ভূখণ্ডে আটকা পড়া অসহায় বেসামরিক লোকজনদের জন্য ত্রাণ পাঠানোর ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা চলছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার ও তুরস্কের মধ্যে। তার ধারাবাহিকতায় বুধবার কায়রো সফরে গিয়েছিলেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি। সেখানে এক বৈঠকে গাজার বেসামরিক লোকজনকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিতে আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসিকে আহ্বান জানান তাজানি। সেই আহ্বানের জবাবে এ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন মিসরের প্রেসিডেন্ট।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি বলেন, ‘আমরা রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে চাই। কিন্তু এই মুহূর্তে এই ক্রসিং খুলে দিলে একদিকে যেমন সংঘাতের মাত্রা ও ব্যাপ্তি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক শরণার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার বিপদও রয়েছে।’
এম আই/