অভিজাত মার্কেট সিয়াম প্যারাগনে কিশোরের গুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় থাইল্যান্ডে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে শপিংমল এবং বিনোদন ও পর্যটন স্থানগুলোতেও বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে যারা থাইল্যান্ড ভ্রমণ করবেন, তাদেরকেও নিজেদের নিরাপত্তায় মনোযোগী হতে হবে। গত ৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের অভিজাত শপিং মল সিয়াম প্যরাগনে ১৪ বছর বয়সী কিশোর বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করেন এবং এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। এই ঘটনায় যে তিনজন মারা যায়, তাদের মধ্যে একজন চায়নিজ ও একজন মিয়ানমারের পর্যটক। আরেকজন থাই নাগরিক। এছাড়াও আহত ৫ জনের মধ্যে একজন চায়নিজ পর্যটক। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, বিশেষ করে চায়নিজ গণমাধ্যমে থাইল্যান্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চায়নিজ পর্যটকরা সবসময় এখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা পাবেন। যা ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। দেশের বন্দুক ব্যবহারের নীতিমালা আরও কার্যকর করা হবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরও জোরদার করা হবে। বিদেশি পর্যটকদের কাছে থাইল্যান্ডকে নিরাপদ হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে দেশটির শপিংমল এবং পর্যটন স্থানগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শনিবার ব্যাংককের স্কাইট্রেন স্টেশনগুলোতে দেখা যায়, যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়াও সন্দেহজনক মনে হলে দেহতল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়া শপিং মলগুলোতেও মেশিন ডিটেক্টেবল স্ক্যানারের মধ্য দিয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ করানো হচ্ছে।
মঙ্গলবারের হামলাকারী কিশোরকে এরই মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তার পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। এরই মধ্যে কিশোরের বাবা-মা জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তদন্তের স্বার্থে যে কোন ধরনের সাহায্য করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্থের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে ক্ষতিপূরণ প্রদানেরও আশ্বাস দিয়েছেন। কিশোরের কাছে বন্দুক বিক্রির দায়ে এরই মধ্যে ৩ জনকে আটক করেছে থাই পুলিশ। ঘটনার প্রেক্ষিতে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী জাক্কাপাং সাংমানি জানিয়েছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৪০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে থাইল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে। এছাড়াও সিয়াম শপিংমল কর্তৃপক্ষ ১ কোটি টাকা করে প্রদান করবে। এছাড়াও আহত ব্যক্তিরা সরকারের পক্ষ থেকে দেড় লাখ টাকা এবং সিয়াম শপিং মল কর্তৃপক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। এই ঘটনায় চীনের সঙ্গে যেন কোন ভুল বোঝাবুঝি তৈরি না হয়, তার জন্য এই মাসের মাঝামাঝি সময় চীন ভ্রমণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা।
এম আই/