মেক্সিকোতে একটি বাস দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা ভেনেজুয়েলা এবং হাইতির অভিবাসনপ্রত্যাশী। ওই দুর্ঘটনায় আরও ২৭ জন আহত হয়েছে।
ওক্সাকা রাজ্যের প্রসিকিউটর এক বিবৃতিতে জানান যে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা সংশোধন করে নিহতের সংখ্যা ১৬ জন বলে জানানো হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় বা তারা কোন দেশের নাগরিক তা জানানো হয়নি।
ওক্সাকা রাজ্যের নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, বাসটি ওক্সাকা এবং কেন্দ্রীয় রাজ্য পুয়েব্লাকে সংযোগকারী মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। পরে এটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকো দিয়ে প্রচুর অভিবাসনপ্রত্যাশী আসছে। ফলে সেখানে দুর্ঘটনাও বেড়ে গেছে। অভিবাসীরা বাস, ট্রাক বা কার্গো ট্রেনে চড়ে মেক্সিকো পার হওয়ার চেষ্টা করে। ফলে ভ্রমণ প্রায়ই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই মেক্সিকোয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী একটি ট্রাক উল্টে এক শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়। সে সময় জানা যায় যে, নিহতরা সবাই কিউবার নাগরিক।
দেশটির চিয়াপাস অঞ্চলের পিজিজিয়াপান-টোনালা মহাসড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। গুয়াতেমালা থেকে উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাওয়ার পথে মেক্সিকো পাড়ি দেওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য এটি একটি সুপরিচিত রুট।
দুর্ঘটনার পর মেক্সিকোর ন্যাশনাল মাইগ্রেশন ইনস্টিটিউট (আইএনএম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রাকটি একসঙ্গে এত লোক বহনের উপযোগী ছিল না। দুর্ঘটনায় পড়ার পর এর চালক পালিয়ে যায়। অতিদ্রুত চলতে গিয়ে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং একপর্যায়ে উল্টে যায়।
মেক্সিকোয় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনা নতুন নয়। অনেকেই দেশটির ভেতর দিয়ে অনিবন্ধিত ও ভাঙাচোরা গাড়িতে চড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে চিয়াপাসে একটি ট্রাক উল্টে অন্তত ৫৪ জন মারা যান। তাদের বেশিরভাগই মধ্য আমেরিকান বংশোদ্ভূত বলে ধারণা করা হয়েছিল।
টিএ/