ভারতীয় হিমালয়ে হিমবাহের হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা শুক্রবার রয়টার্সকে বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনও নিখোঁজদের সন্ধান করছে।
প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপচে পড়তে থাকে। বৃষ্টির ফলে তিস্তার পানির স্তর বেড়ে যায়।
এরপর চুংথাং বাঁধ থেকে তিস্তা নদীর উদ্দেশে পানি ছাড়া হয়। এতে তিস্তার পানির স্তর আরো বেড়ে যায়। বাঁধ খুলে দেওয়ার পর সেখানে পানির স্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে যায়। ফলে সিংটামের কাছে বারদাংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সেনাবাহিনীর বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিস্তা নদীর পানি উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশের বাঁধ থেকে নদীতে আরো পানি আসার পর পরিস্থিতি অতিমাত্রায় খারাপ হয়েছে।
পার্বত্য সিকিম রাজ্যের লোনাক হ্রদের পানি বেড়ে গিয়ে বুধবার উপচে পড়ে। এই বন্যায় প্রায় ২২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন এই ঘটনার জন্য দায়ি বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিকিম কর্মকর্তারা মৃতের সংখ্যা ১৮ বলে জানিয়েছিল। পার্শ্ববর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দলগুলো ২২টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
সিকিমের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের সংযোগকারী দুটি সেতু ভেঙে গেছে। ফলে পরিবহন পরিষেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর কিছু যানবাহন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে বলেছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে। রাজ্যের অন্যান্য অংশেও উদ্ধার অভিযান চলছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় আটকে পড়াদের মধ্যে তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক রয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে, এই অঞ্চলের আবহাওয়ার একটু উন্নতি হলে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে আটকা পড়া প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন পর্যটকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
টিএ/