বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

আজ বিশ্ব বই দিবস: পৃথিবীব্যপী জ্ঞানের উৎসব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আজ ২৩ এপ্রিল। বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বই দিবস। ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো এই দিনটিকে প্রথমবারের মতো বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তারপর থেকেই প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল আন্তর্জাতিকভাবে বই দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে।

এই দিনটি বিশেষভাবে ‘বিশ্ব বই দিবস’ ঘোষণার কারণ এটি ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক উইলিয়াম শেক্সপিয়ার এবং স্পেনীয় সাহিত্যিক মিগুয়েল দে সেরভান্তেস-এর মৃত্যুর দিন। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন, কপিরাইট সুরক্ষা এবং জ্ঞানের বিস্তারের লক্ষ্যে এই দিনটি পালন করা হয়।

ইউনেস্কো প্রতি বছর প্রকাশনা শিল্পের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শহরকে ‘ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল’ হিসেবে ঘোষণা করে। নির্বাচিত শহরটি সারা বছরব্যাপী বই পাঠ এবং বইয়ের প্রচারে নানা উদ্যোগ ও অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

যেভাবে শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার, ঠিক সেভাবেই বই পড়া মস্তিষ্কের জন্য খাদ্যস্বরূপ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস মস্তিষ্ককে সক্রিয়, সুস্থ ও কার্যক্ষম রাখে।

বিশ্বের বই পড়ার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এই ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে। সিইও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিনিরা বছরে গড়ে ১৭টি বই পড়েন এবং ৩৫৭ ঘণ্টা বই পড়ায় ব্যয় করেন। এরপর রয়েছে ভারত, যেখানে গড়ে বছরে ১৬টি বই পড়া হয় এবং বই পড়ায় ব্যয় হয় ৩৫২ ঘণ্টা।

তালিকায় পরবর্তী দেশগুলো হলো, যুক্তরাজ্য: ১৫টি বই, ৩৪৩ ঘণ্টা, ফ্রান্স: ১৪টি বই, ৩০৫ ঘণ্টা, ইতালি: ১৩টি বই, ২৭৮ ঘণ্টা।

যদিও ই-বুকের জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী বেড়েছে, তবুও যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পাঠকেরা এখনও মুদ্রিত বই পড়তেই বেশি পছন্দ করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে বই পড়ার হার তুলনামূলকভাবে কম। একজন বাংলাদেশি গড়ে বছরে মাত্র তিনটি বই পড়েন এবং বই পড়ায় ব্যয় করেন ৬২ ঘণ্টা। বিশ্বের ১০২টি দেশের মধ্যে এই হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭তম।

তবে আশার কথা হলো—বাংলাদেশে শিশুদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস বাড়ছে এবং নানা উদ্যোগের মাধ্যমে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টাও চলছে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ