বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫ ।। ৫ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘ইসরায়েল ও ভারতের সাথে অর্থনৈতিক-কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করুন’ ‘পলিটিক্যালি মোটিভেটেড না হয়ে মানুষের কল্যাণে আইনজীবীদেরকে কাজ করতে হবে’ সাবেক ইমাম মাওলানা নূরুল আলম বাঁচতে চায় বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ, পাশের হার ৯৬.২৪ শতাংশ ‘ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম গণহত‍্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ জরুরি’ ‘গাজায় হামলার প্রতিবাদে বিশ্বাবসীকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান’ মাহে রমযানে একটি সফল আলোচনা সভা আওরাঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে দাঙ্গা,জামায়াতে ইসলামীর তীব্র নিন্দা ১৯ তম তারাবির নামাজে তিলাওয়াতের সারমর্ম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সেনাপ্রধান

মাহে রমযানে একটি সফল আলোচনা সভা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাদানী মজলিস বাংলাদেশের উদ্যোগে জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া রামপুরা ঢাকার প্রাঙ্গনে, ১৮ রমযান ১৪৪৬ হি. মুতাবেক ১৯ মার্চ ২০২৫ ঈ. রোজ বুধবার দুপুর এগারোটায় 'ইয়াবা ও নেশা প্রতিরোধে রমযানের প্রভাব' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মাদানী মজলিস বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রাণপুরুষ শায়খ মুফতী হাফীজুদ্দীন দা. বা. বলেন, 
ইয়াবা ও নেশা আসক্তির অনেকগুলো কারণের মাঝে অন্যতম হলো-
১. স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর দ্বন্দ্ব-কলহ এবং পারিবারিক অশান্তি 
২. ঋণের বোঝার পেরেশানি 
৩. কর্মজীবনের সামারি- ব্যর্থতা 
৪. পরীক্ষায় কাঙ্খিত সফলতা অর্জন করতে না পারা 
৫. প্রেম-ভালোবাসায় ব্যর্থ হওয়া ইত্যাদি।
এর থেকে উত্তোরণের উপায় হিসেবে তিনি বলেন, 
১. সবার মাঝে ইয়াবা ও নেশার আলোচনা করা এবং ক্ষতিকর দিকগুলোর প্রচার করা, যাতে করে এর প্রতি যুবসমাজের ঘৃণা সৃষ্টি হয়। 
২. আসক্ত ব্যক্তিদের সাথে ভালো ব্যবহার করা, সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাদেরকে এর থেকে ফেরানোর জন্য চেষ্টা করা।
সংক্ষিপ্তভাবে মাদানী মজলিস বাংলাদেশের কার্যক্রম সম্পর্কে জানা যায়।
তারা দেশ ও জাতির মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—
১. 'মদ-মাদকতা' নামে পুস্তিকা রচনা
২. লিফলেট প্রচার 
৩. জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার করা
৪. ইমাম ও খতিবদের বরাবর চিঠির মাধ্যমে জনগণের মাঝে আলোচনার অনুরোধ করা
৫. মাঠ পর্যায়ে নেশাগ্রস্তদেরকে খানা ও পোশাক প্রদানের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করা, পেয়ার ও মহব্বতের সাথে এর ক্ষতিকর দিকগুলো বোঝানো।

ভবিষ্যতে মজলিসের প্রস্তাবানাগুলো সম্পর্কে জানা যায়,
১. স্কুল-কলেজে কাউন্সিলিন করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা 
২. সমাজের সবাইকে ইয়াবা ও নেশা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা 
৩. নিরাময় কেন্দ্র তৈরি করে
         ক. কাউন্সিলিন ও 
         খ. দ্বীনি পরিবেশকে নিশ্চিত করা
৪. সংক্ষিপ্ত ডকুমেন্টারি তৈরি করে ব্যাপক প্রচার করা।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন-
# নয়াটোলা ও রামপুরার আয়িম্মায়ে মাসাজিদের সভাপতি মাওলানা শিব্বির আহমদ সাহেব, 
# রামপুরা ও হাতিরঝিল থানার ইমাম ও আইয়িম্মা পরিষদের সম্মানিত সেক্রেটারি মহানগর বাইতুল নূর জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব মাওলানা মাহফুজুর রহমান, 
# আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র সম্পাদক মাওলানা হুমায়ূন আহমদ,
# জামিয়া ইকরা বাংলাদেশের স্বনামধন্য সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী মোহাম্মদ উল্লাহ ইয়াহইয়া, 
# খিলগাঁও নবীনবাগ জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম ও খতিব হযরত মাওলানা মুফতী আবদুল হালীম,
# গাজীপুর চাপুলিয়া জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মুফতী মাহবুবুর রহমান
# জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া ঢাকার সিনিয়র মুফতী মাওলানা আরমান সাদিক ও মাওলানা জামিল ইকবালসহ কয়েকজন শিল্পপতি, সমাজপতি, মিডিয়াকর্মী, অনেক আলেম-ওলামা এবং সাধারণ ভাইয়েরা।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ