সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ।। ৩ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৭ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :
কচুয়ায় শাজুলিয়া ইমাম-উলামা পরিষদের আলোচনা সভা ও ঈদ উপহার বিতরণ  ‘স্বৈরাচারী সরকারের সবচাইতে বেশি নির্যাতনের শিকার হেফাজতে ইসলাম’ কবে দিচ্ছে কওমি শিক্ষাবোর্ড বেফাকের রেজাল্ট ? ‘শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে হবে’ ইফতা-আদবসহ সকল বিভাগে ভর্তির সুযোগ শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে   আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস শিক্ষাবোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত বেরোবি মসজিদের খতিবের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন জার্মানি থেকে হজের জন্য সাইকেলযাত্রা ‘মুসলমানদের নিরাপত্তা প্রদানে ভারতের ব্যর্থতা সভ্যতার জন্য লজ্জাজনক’ ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ পড়ায় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

চটকিবাড়ি হুজুর, আমার দেখা নীরব সাধক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিযানুর রহমান জামীল
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম


সমুদ্রের বুক কাঁপিয়ে ওঠা তুফান বাড়ি ঘর ভেঙে দিয়ে যায়, তার ইন্তেকালও যেন ভেঙ্গে দিল আমাদের। সূর্য মেঘের আড়াল হওয়ার মতো তিনিও চলে গেলেন জীবন ও দৃষ্টির আড়ালে। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে আর কোনো-দিন আমাদের ভাগ্যে তাঁর সান্নিধ্য মিলবে না। দুধের শূন্যতা যেমন পানি দিয়ে পূর্ণ করা যায় না, একজন আলেমের অভাবকেও সোনার পাহাড় দিয়ে পূর্ণ করা যায় না। তবে তাঁর মিশন-ভিশন, চিন্তা ও জাগরণ সারা জীবন দেশ জাতির কল্যাণে পূর্ণ অবদান রেখে যাবে ইনশাআল্লাহ।

যিনি বাংলার ঘরে ঘরে জ্বালিয়েছেন কুরআনের বাতি। নূরানী শিক্ষাধারার অন্যতম আবিষ্কারক শাইখুল কুরআন কারী বেলায়েত সাহেব (রহ.) এর চিন্তা চেতনার বিশ্বস্ত সঙ্গী, নূরানী মাদরাসার শিশুদের বহু গ্রন্থ ও পাঠ্যপুস্তক প্রণেতা, নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড চটকিবাড়ি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা শফিকুল্লাহ এম এম। এখন তিনি মরহুম।

জন্ম ও সন

মাওলানা শফিক উল্লাহ এম এম ১৯৩৭ সালের ১২ আগস্ট সুবর্ণচর থানার উত্তর কচ্চপিয়া গ্রামের চটকি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ফরিদ মিয়া, মাতার নাম জামিলা খাতুন। তাঁরা ছিলেন ২ বোন ৮ ভাই।

শিক্ষাজীবন

বাবার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার সূচনা হলেও নিজ এলাকার প্রসিদ্ধ আলেম ‘বাড়ির হুজুর রহ.' এর কাছে প্রাইমারী শিক্ষা অর্জন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন সোনাপুর ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে। সেখানে তিনি উচ্চশিক্ষাও লাভ করেন। পাশাপাশি বান্দের হাট এক মাদরাসায় আরবী নাহু সরফ ও বাংলা ইংরেজির উপর বিশেষ পাঠগ্রহণ করেন। সেখানে থাকাকালীন একজন বাংলা শিক্ষকের কাছে বাংলা (গ্রামার) সাহিত্যের উপর দীর্ঘসময় পড়াশোনা করেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়— ১৯৫৪ সালে তিনি দাখেল পরীক্ষা দেন। ১০ বছর বিরতির পর ১৯৬২ সালে কামেল পরীক্ষা দেন। ৬২ এর শেষ দিকে ছয়ানী মাদরাসায় ৩ বছর শিক্ষকতা করেন। সেখানে খেদমত অবস্থায় ৬৩ সালে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। ৬৫ সালে নিজ এলাকার রব্বানিয়ায় যান।

মক্তব পড়েন এলাকার প্রবীণ মুরুব্বী মাওলানা আব্দুল আউয়াল সাহেবের কাছে। চটকিবাড়ি হুজুর তাঁকে খুব সম্মান শ্রদ্ধা করতেন। তার জন্য চটকিবাড়ি হুজুর রহ. নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। খেদমত দোয়াসহ বিভিন্নভাবে নিজ উস্তাদের খোঁজ-খবর রাখতেন।

১৯৮০ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তখন ইবরাহীম নামে এক পুত্র-সন্তান এবং সাকেরা নামে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। পরবর্তীতে পুত্র সন্তানের ইন্তেকাল হয়ে যায়। সেই ঘরে মোট এক ভাই দুই বোন।

নূরানীর জগতে

নূরানীর জগতে আসার জন্য যে শিক্ষা অর্জন করা দরকার সে শিক্ষার জন্য তিনি তার সময় শ্রম অর্থ সব বিলিয়ে দিয়েছেন। কর্মজীবন শুরু হওয়ার কিছুদিন পর তাঁর বাবার মৃত্যু পর্যন্ত তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তবে কর্মজীবনের একটি অধ্যায়ে তিনি পড়াশোনাও করেন। বাবার মৃত্যুর পর একদিন তিনি তার শ্বশুর বাড়ি যান। সেখানে মক্কিয়া মাদরাসায় দুইজন শিক্ষার্থীর কাছে পড়া শোনেন। তিনি তাদের বিভিন্ন সূরা জিজ্ঞেস করেন এবং শেষ পর্যন্ত শোনেন। তারা ১ নং হাদীস ২ নং হাদীস শরীফ পড়ে শোনায়। ভাবলেন তাঁরও এগুলো শিক্ষা করা দরকার। তখন তিনি খোঁজ নিয়ে ট্রেনিং গ্রহণের জন্য চাঁদপুর মমিনবাড়ি কারী বেলায়েত সাহেব রহ. এর প্রতিষ্ঠিত প্রশিক্ষণ সেন্টারে রওনা হন। সেখানে নূরানী পদ্ধতির শিক্ষা সমাপ্ত করে পরিপূর্ণ প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়ি ফিরেন।

কর্মজীবন

তিনি বাড়ির পাশে এক আলিয়া মাদরাসায় খেদমত নেন। খেদমত নেয়ার পর তাদের লেনদেন চলাফেরা কৃষ্টি-কালচার তাঁর কাছে মনঃপূত না হওয়ায় চাকুরি ছেড়ে দেন। এতে তাঁর বাবা সাময়িক চিৎকার চেচামেচি করেন। চাকুরিটা আবার ধরতে বার বার তাকিদ দিতে থাকেন। কিন্তু তিনি আর সেখানে চাকুরি করেননি। তখন থেকে হালকা ব্যবসা বাণিজ্যও শুরু করেন।

চটকিবাড়ি মাদরাসা

পরবর্তীতে নূরানী ট্রেনিং শেষ করে বাড়ির পাশে একটি গর্তের উপর ১৯৭৮ সালের দিকে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। কালক্রমে গর্তটি মাটি দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেয়া হয়। প্রথমে মসজিদে মক্তবের মাধ্যমে মাদরাসা সূচনা করেন। সেখান থেকেই নূরানীর পাঠ আরম্ভ করেন। এলাকায় অনেক বাধা বিপত্তি ছিল। কুরআন শিক্ষার জন্য মক্তব ছিল আগে। মক্তবের পর নূরানী প্রতিষ্ঠায় এলাকার মানুষ বিরোধিতা করেন, এমনকি আত্মীয়স্বজনও। তাদের বক্তব্য হলো— ‘এগুলো কী পড়াচ্ছে, এগুলো পড়ালেখা নয় ইত্যাদি।’ এমনকি কোনো কোনো ছাত্র মাদরাসায় পড়ার জন্য আসলে ছাত্রের অভিভাবক টেনে থাপড়িয়ে ছাত্রকে নিয়ে যেত সেখান থেকে। এরপরও তিনি ধৈর্য ধরে প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান।

ভর্তির সময় ছাত্রদের থেকে কিছু টাকা নিলেও পুরো বছর তাদের কাছ থেকে আর টাকা নেয়া হত না। ফলে মাদরাসা খুবই অভাবের ভেতরে চলতে থাকে। নিজে কিছু ব্যক্তিগত কাজ করে সংসার চালাতেন। প্রতিষ্ঠানকে মানসম্পন্ন গতিশীল ও সমৃদ্ধ করতে তাঁর চেষ্টার কোনো শেষ ছিল না। এভাবে দীর্ঘ একটি সময় পার হয়ে যায়।

একদিন কারী বেলায়েত সাহেব রহ. বললেন, 'আমি নূরানীতে বাংলা ইংরেজি যোগ করবো' তখন সবাই বাংলা বই জমা দেন। কারী বেলায়েত সাহেব রহ. এর কারও বই পছন্দ হয়নি; তবে চটকিবাড়ি হুজুর যেটা দিয়েছেন সেটাই গ্রহণযোগ্য হয়েছে। ঐ বাংলাটা কারী বেলায়েত সাহেব রহ. এর নিজস্ব বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এরপর তিনি ভাবলেন নূরানী পদ্ধতিতে বাংলা অংক ইংরেজি সবকিছু আবিষ্কার করা দরকার। সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে তা আবিষ্কার করেন। এগুলোর পাশাপাশি ট্রেনিং সেন্টারও চালু করেন। এর মাধ্যমেই চটকিবাড়ির কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

সন্তানাদী

তাঁর তিন ছেলে ও ছয় মেয়ে। যাদের প্রত্যেকেই আপন আপন স্থানে প্রতিষ্ঠিত। ছেলেদের সবার ছোট মাওলানা ওমর ফারুক। মেঝো ছেলে মুফতি ইলিয়াস, বড় ছেলে মাওলানা আশরাফ আলী দিদার।

ফিকরি প্রকাশনী

এরপর বই ছাপানোর জন্য লাইব্রেরীর কার্যক্রম হাতে নেন। জামালুদ্দিন নামে একজন ছিলেন, প্রথমে তার মাধ্যমে চৌমুহনীতে বইগুলো বিক্রি করতেন। পরে তাঁর মেঝো ছেলে মুফতি ইলিয়াসের মাধ্যমে লাইব্রেরীর কার্যক্রম শক্ত করে এগিয়ে নিতে থাকেন। বইয়ের ছাপা বিতরণ সংস্কার ইত্যাদি সবগুলোয় তিনি সময় ও শ্রম দেন। এতে লাইব্রেরী একটা ভালো অবস্থানে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। লাইব্রেরীর নাম দেওয়া হয় ফিকরি প্রকাশনী। ফলে বইগুলো নোয়াখালী ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।

রাজনৈতিক জীবন

তিনি হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর খেলাফত আন্দোলনের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং ১৯৬৬ সালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন। এছাড়া তাঁর জীবন খাতায় রাজনীতির কোনো অধ্যায়ের সন্ধান আপাতত পাওয়া যায়নি।

দাওয়াত তাবলীগ

জীবনের নানান ক্ষেত্রে তাবলীগের কাজকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। জানা যায়, ১৯৭১ এর যুদ্ধের সময় তিনি উত্তরবঙ্গে তাবলীগ জামাতে ৩ চিল্লার সফরে ছিলেন। দেশ স্বাধীনের সময়ও তাবলীগের কাজে মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেছেন।

বিদেশ সফর

তিনি হজ করেছেন। স্ত্রী, ছোট মেয়ে ও বড় ছেলেকে হজ করিয়েছেন। ছোট ছেলেকে ওমরা করিয়েছেন। তিনি কলকাতা ও ইন্ডিয়ার কিছু রাজ্যে (মোম্বাই) নূরানী শিক্ষা প্রচারের কাজে বড় ছেলেসহ একাধিক বার সফর করেন।

রচনা ও লেখালেখি

নূরানী পদ্ধতিতে বাংলা ইংরেজি গনিতের পাশাপাশি নাহু সরফের কিতাবও লিখেন। পাশাপাশি বাংলা ব্যকরণও লিখেন। বাংলা, ইংরেজি, অংকসহ নাহু-সরফ ও বাংলা ব্যকরণের কাজ করেন। তার রচিত ‘নূরের সন্ধানী’ কবিতা ‘এবার হুকুম দাও না গো মা নূরানীতে যাই, নূরানীতে নূরের ঝলক দেখতে মোরা পাই’— সবার কাছে সমাদৃত একটি কবিতা।

তাসাউফ

১৯৭৮ সালে তৎকালীন মেখলের মুফতি সাহেব হুজুর রহ. এর সাথে তাঁর তাসাউফের নেসবত ছিল। তাসাউফের লাইনে গভীর সম্পর্ক ছিল ওলামা বাজারের মুফতি সাঈদ আহমেদ রহ. এর সাথে। বরেণ্য লেখক মাওলানা ইসহাক ওবায়দী রহ. তাঁকে লিখিত খেলাফত প্রদান করেন। একসময় ওবায়দী রহ. হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর সোহবতে প্রেসসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর সোহবতও পেয়েছেন দীর্ঘ সময়। তৎকালীন হুজুরের বটগাছের আন্দোলনেও শরীক ছিলেন। সেই সুবাদে চটকিবাড়ি হুজুর ও ইসহাক ওবায়দী দুজনের মাঝে ছিল অন্তরঙ্গ সম্পর্ক।

দুর্ভিক্ষের স্মৃতি চারণ

২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর হযরতের বড় ছেলে মাওলানা আশরাফ আলী দিদারের আহ্বানে হযরত (রহ.) এর জীবনীর কাজে চটকিবাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে রেকর্ডের মাধ্যমে তাঁর জীবন ও কর্মের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সংরক্ষণ করা হয়। শিক্ষাজীবনের কোনো এক অধ্যায়ে খাবারের অভাবে সবাই মাদরাসা ছেড়ে চলে গেলেও তীব্র ক্ষুধার জ্বালা নিয়েও তিনি মাদরাসা ছেড়ে যাননি। দুর্ভিক্ষের এ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

কেমন ছিলেন তিনি

২০১৪ সালে মাদরাসা দারুর রাশাদের মাদানী মেহমানখানায় হযরত রহ. থেকে দীর্ঘ সময় সোহবত গ্রহণের সুযোগ হয়। তিনি একদম গ্রামের সরল মানুষের মতো সাধারণ জীবনযাপন করতেন। অহংকার বলতে কিছুই ছিল না তাঁর মধ্যে। কারো গীবত শেকায়েত এমনকি পরনিন্দার ধারে কাছেও যেতেন না। সবসময় বাচ্চাদের পড়ালেখা ও আদব আখলাক নিয়ে চিন্তিত থাকতেন। আমাকে বেশ মহব্বত করতেন। কাছে বসিয়ে আদর স্নেহের সুরে মনের কথাগুলো বলে যেতেন।

হুজুর এখন স্মৃতি

বসুরহাট মাদরাসা দারুল আরকামের পরিচালক মাওলানা সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সেই সুবাদে ২০১৬-১৭ এর দিকে তার প্রাতিষ্ঠানিক একটি সেমিনারেও উপস্থিত হওয়ার সুযোগ হয় আমার। নোয়াখালীর প্রবীণ আলেমগণও সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। একই মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন চরমটুয়ার হযরত মাওলানা শাব্বির আহমাদ রহ, লেখক মাওলানা ইসহাক ওবায়দী রহ. ও চটকিবাড়ি হুজুর রহ.। তিনজনই গত হয়ে গেছেন। সেই মঞ্চ আর জীবন পাঠের স্পন্দন আছে ঠিকই, নেই শুধু তিনি এবং তাঁরা।

ইন্তেকাল

ভাই-বোনদের মধ্যে সবার ইন্তেকালের পর চটকিবাড়ি হুজুরই সর্বশেষ রবিবার (১৬ মার্চ ২০২৫) রাত ৯টা ২৪ মিনিটে মাইজদী আদর হসপিটালে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিঊন)

তাঁর ইন্তেকাল যেন আকাশ থেকে ছুটে পড়া তারকাপুঞ্জের বিদায়। তাঁর চলে যাওয়া যেন উত্তাল সমুদ্রে যাত্রী রেখে নাবিক হারিয়ে যাওয়া। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও ৬ মেয়েসহ অসংখ্য ছাত্র এবং ভক্তবৃন্দ রেখে যান।


বিশেষ অবদান

আরবী ও জেনারেল এর সমন্বয়, লেখালেখিতে শিশুদের জন্য উপযোগী বই; তবে নূরানী বোর্ড আবিষ্কার তার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। যা বিশেষ একটি অবদান হিসেবে ইতিহাস হয়ে থাকবে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ