শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

২৫ বছর ধরে কোনো বেতন ছাড়াই আজান দিচ্ছেন শতবর্ষী হাকিম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শতবর্ষী হাকিম মৃধা। থাকেন ঝালকাঠির নলছিটি পৌর এলাকার সারদল গ্রামে। এই বয়সেও একা একা হেঁটে মসজিদে আসেন, আজান দেন এরপর জামাতে নামাজ আদায় করেন।

হাকিম মৃধা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সারদল তালুকদার বাড়ির সামনে আল আকসা জামে মসজিদে বিনা বেতনে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়লেও একাই হাঁটাচলা করেন তিনি। এখনও রোজা রাখেন। চশমা ছাড়াই তার দৃষ্টি এখনও স্পষ্ট। তিনি বর্তমানে ওই এলাকার সব চেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি। সবার কাছে তিনি বড়মিয়া মুয়াজ্জিন নামে পরিচিত।

হাকিম মৃধার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলের নাম ইউনুস মৃধা। তিনি পেশায় একজন জেলে। মেঝ ছেলে ইউসুফ পেশায়  ভ্যানচালক ছিলেন। কয়েকবছর আগে মারা গেছেন। ছোট ছেলে খলিল পেশায় একজন দিনমজুর। বড় মেয়ের নাম রেনু বেগম ও ছোট মেয়ে রানু বেগম। তারা স্বামীর বাড়িতে থাকেন। হাকিম মৃধার সব নাতি-নাতনি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এক সময় কৃষিকাজ করলেও এখন বেশিরভাগ সময় তার মসজিদেই কাটে। তিনি অর্থনৈতিক স্বচ্ছল না হলেও কারো কাছে হাত পাতেন না।

তিনি মুয়াজ্জিন হলেও নাতি বাপ্পিকে বানিয়েছেন কুরআনের হাফেজ। মুয়াজ্জিন হাকিম মৃধার ইচ্ছা মৃত্যুর পর তার নাতি যেন ধর্মীয় কাজ চালিয়ে যায়। 

মুয়াজ্জিন হাকিম মৃধা বলেন, আগে কৃষি কাজ করতাম তা দিয়ে কোনো রকম চলতাম। বয়স হওয়ার পরে আর কৃষি কাজ করতে পারি না। এরপর থেকে ছেলে-মেয়েদের বাড়িতে গিয়ে খাই। এছাড়া কেউ চাল, কেউ টাকা দেয় তা দিয়ে কোনোরকম জীবন চলে যায়। তারপরও আমি আলহামদুলিল্লাহ সুখে আছি।  জীবনের শেষ বয়সে বেশিরভাগ সময়ই আমার কাটে আল্লাহর ইবাদত করে। বাকি জীবনটা ইবাদত ও মসজিদের খেদমত করেই কাটাতে চাই। 

প্রতিবেশী মামুন হাওলাদার জানান, আমাদের এলাকায় তার চাইতে বেশি বয়সী কেউ বেঁচে নেই। তিনি মসজিদে আজান দেন। সবাইকে নামাজের অন্য ডাক দেন।

একই মসজিদের মুসল্লি মানিক খান বলেন, আমাদের এলাকায় অনেক মানুষ আছে। কোটি টাকা থাকলেও বলে অভাবে আছি। কিন্তু হাকিম মৃধাকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, আমার কোনো অভাব নেই। আল্লাহ আমাকে ভালো রেখেছে। 

মসজিদের ইমাম মাহাদী হাসান বলেন, মুয়াজ্জিন সাহেব এই মসজিদের শুরু থেকেই আজান দেন। সব সময় জামাতে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করেন। বেশিরভাগ সময় মসজিদেই সময় কাটান। 

পৌরসভার ৭নং কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, হাকিম মৃধা আমার নির্বাচনি এলাকার সারদল গ্রামের বাসিন্দা। তাকে সরকারি বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন সময় যেটুকু পারি আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করে থাকি।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ