ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাটার শোরুমে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাটা ইসরায়েলি পণ্য নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৭ মার্চ) রাতে বাটার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়।
গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা লক্ষ্য করছি বাটাকে ঘিরে বিভ্রন্ত তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যেখানে বলা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলি মালিকানাধীন বা চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত। বাটা একটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক মালিকানাধীন চেক রিপাবলিক ভিত্তিক কোম্পানি, ইসরায়েল বা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে আমাদের কিছু খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ভাঙচুরের শিকার হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যা স্পষ্টতই এই মিথ্যা বর্ণনার কারণে ঘটেছে। আমরা সকল ধরনের সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাটা বাংলাদেশে ১৯৬২ সাল থেকে সকল সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধার সঙ্গে সেবা দিয়ে আসছে। বাটা গুণগতমানের দিক থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিন পালিত হয় ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি। গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থী ও জনতা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এই কর্মসূচির মধ্যেই সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কেএফসি, বাটার শোরুমসহ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এসএকে/