বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


কুয়াকাটায় শ্রমিকদল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কুয়াকাটা পৌর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল কুয়াকাটা পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা জলিল সুকানীর ওপর হামলার প্রতিবাদে শ্রমিকদল কুয়াকাটা পৌর শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার রাতে পৌর শ্রমিকদলের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় পৌর শ্রমিকদলের শতাধিক নেতাকর্মী এতে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি মো. মানিক ফকিরসহ ওই কমিটির পদধারী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

কুয়াকাটা পৌর শ্রমিকদলের সহ-সাংগঠনিক রুবেল সিকদার বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু লোক নিয়ে বিএনপি যড়যন্ত্র চালাচ্ছে, আমাদের সাধারণ সম্পাদক'র ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেদিনের ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ বলেন, পৌর শ্রমিক দল একটি স্ট্রং দল, আমাদের সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।

পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জলিল সুকানী বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মতিউর রহমান মতি বলেন, এটা দলীয় একটা বিষয়, এটা নিয়ে আমরা একবার বসেছি। আশা করছি, এটা শিগগির নিরসন হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে কুয়াকাটা হ্যন্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা গোপনে মিটিং করেন। এতে পৌর শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে পৌর বিএনপির সদস্য শিরু মোল্লার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার দায় চাপানো হয় কুয়াকাটা পৌর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক জলিল সুকানীর ওপর।

এ ঘটনায় ১৪ নভেম্বর উভয় পক্ষকে নিয়ে পৌর বিএনপি সমাধানে বসার কথা থাকলেও উল্টো শালিসি বৈঠকে সুকানীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মানহানিকর কথাবার্তাসহ সেখানে আওয়ামী লীগের ইন্ধনে তার ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। তবে শালিসে যথাসময়ে অভিযুক্ত জলিল সুকানী আসেনি বলে দাবি অপর পক্ষের। তারা বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে নানা অসংলগ্ন আচরণ করেন এবং আবাসিক হোটেল সাগরে হামলা করা হয়।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ