রংপুর ব্যুরো
আইনের কঠোর প্রয়োগ না থাকার কারণে রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় বালু উত্তোলন করে তা প্রকাশ্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। ফলে ভাঙছে নদীর পাড়ে অবস্থিত বাড়িঘর ও ফসলি জমি। বদলে যাচ্ছে নদীর গতিপথ। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে করতোয়া নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
অভিযোগ, ৫ আগস্টের আগে কিছু কিছু অভিযান চালাত প্রশাসন। তখন বালু উত্তোলন কিছুদিন বন্ধ থাকত। প্রশাসনের উদ্যোগহীনতা ও স্থবিরতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এলাকার আফজাল শেখ বলেন, করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন ও লুটের কারণে পীরগঞ্জ উপজেলার টুকুরিয়া, বড় আলমপুর, চতরা ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। ফসলি জমিসহ বাড়িঘর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙনের কবলে পড়েছে। জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব দেখা দিয়েছে।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার করতোয়া নদীতে দেখা যায়, নদীর ৯টি স্থানে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে পাইপ দিয়ে টানা হচ্ছে বালু। এসব বালু ট্রাক্টর, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্নভাবে পীরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, ভাদুরিয়া, ঘোড়াঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সিন্ডিকেট করে বালু লুটের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এতে চতরা, বড় আলমপুর ও টুকুরিয়া ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কগুলোতে গভীর গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সেগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম বলেন, উপজেলার অনেক এলাকায় অভিযান চলছে। শিগগিরই বালুর পয়েন্টগুলোতেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।