হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি অব্যাহত আছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় দেশের বাজারে পাইকারিতে কমেছে পণ্যটির দাম। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্দর দিয়ে ডায়মন্ড সাদা ও লাল কাটিনাল আলু আমদানি হচ্ছে। বন্দরে ডায়মন্ড জাতের সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৪- ৪৫ টাকায়, আগে যা ছিল ৪৮-৪৯ টাকা। এছাড়া লাল কাটিনাল জাতের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৩ টাকায়, আগে দাম ছিল ৫৬-৫৭ টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক শাহাবুল ইসলাম বলেন, হিলিসহ দেশের সব স্থলবন্দর দিয়েই ভারত থেকে আলু আমদানি হচ্ছে। বর্তমানে ভারতে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০-৩১ রুপি। প্রতি কেজিতে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ৬ টাকার মতো। তাই শুল্ক ও অন্যান্য খারচ মিলিয়ে আমাদের পড়ছে ৫২ টাকা। আমরা বাজারে লাল কাটিনাল জাতের আলু বিক্রি করছি প্রতি কেজি ৫২-৫৩ টাকায়। সাদা আলু এর থেকে ৪-৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরে আলু কিনতে আসা ব্যবসায়ী আইয়ুব হোসেন বলেন, স্থলবন্দর থেকে আলু কিনে মোকামে সরবরাহ করি। মোকামগুলোয় আমদানিকৃত আলুর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। দাম কমায় কম পুঁজি প্রয়োজন হচ্ছে। খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, বন্দর দিয়ে আগের তুলনায় আলু আমদানির পরিমাণ বাড়ছে। ২ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৫৪টি ট্রাকে ১১ হাজার ৬৯৫ টন আলু আমদানি হয়েছে। এছাড়া নিয়মিতভাবে ২৫-৩০ ট্রাক এমনকি ৭০ ট্রাক আলুও আমদানি হচ্ছে। আলু পচনশীল পণ্য হওয়ায় আমদানিকারকরা যেন দ্রুত খালাস নিতে পারেন তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে কাস্টমস।
প্রসঙ্গত, দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ৫ সেপ্টেম্বর আলু আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনে অন্তর্বর্তী সরকার। আগে শুল্ক ছিল ২৫ শতাংশ। এছাড়া আলুর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।