ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়েছে রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতোমধ্যেই রাজধানী ছেড়ে বাড়ি ফিরেছে মানুষ। ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে ফাঁকা হয়েছে ইট-পাথরের এই নগরী।
ঈদের আগের দিন বুধবার সকালে রাজধানীর রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম দেখা গেছে। নেই তেমন মানুষজনও। তবে শপিংমল, মার্কেট এলাকায় মানুষজনের যাতায়াত চোখে পড়েছে।
ঢাকার মতিঝিল, মগবাজার, মিরপুর রোড, ধানমন্ডিসহ ব্যস্ত এলাকাগুলোতে কোনো ব্যস্ততা নেই। ফুটওভার ব্রিজগুলো প্রায় ফাঁকা। গাড়ি কম ও যানজট না থাকায় কোথাও যেতে অনেক কম সময় লাগছে। তবে এ সময়টায় রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভাড়া অনেক বেড়ে গেছে।
মহাখালীতে বাস টার্মিনালে ভিড় নেই। যাত্রী নাই বললেই চলে। ফাঁকা ঢাকায় যাত্রী পেতে অপেক্ষা করছেন চালকরা।
এদিকে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধী চক্র যাতে সক্রিয় হতে না পারে সেজন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ছক তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অপারেশন্স বিভাগ প্রণীত এ ছকে প্রাধান্য পাচ্ছে ঈদগাহ মাঠ, বিপণিবিতান, মার্কেট, ব্যাংক এবং এটিএম বুথ। এছাড়া গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে আলাদা নিরাপত্তা ছক।
নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দেহ ও অন্যান্য বস্তু তল্লাশি করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঈদগাহ প্রাঙ্গণ এবং আশপাশের এলাকায় যাতে ভিক্ষুক বা হকার ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ কন্ট্রোল রুম বা হাইকোর্ট অভ্যন্তরে স্থাপিত সাব-কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফোর্স মোতায়েন হওয়ার আগে ইনচার্জ অফিসাররা দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ব্রিফিং করবেন। ঈদের দিন থেকে বিপণিবিতান এবং স্বর্ণের দোকানে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।
কেএল/