কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত চান্দেরবাগ গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে। মসজিদে আশ্রয় নিতে তাদের সহযোগীতা করেছে স্থানীয় মুসলিমরা।
জানা যায়, এটি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাকাতিয়া নদী তীরবর্তী একটি গ্রাম। ওই গ্রামে ২৩০-২৫০ লোকের বসবাস, যার মধ্যে শুধু দু’টি পরিবার মুসলিম। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে পুরো গ্রামটি ডুবে যায়। আশেপাশে আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় এখানকার হিন্দুরা পার্শ্ববর্তী পিপড্ডা গ্রামের মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন। আর কিছু লোক বিভিন্ন বাড়ির ছাদে রয়েছেন। সরকারি কোনো সহায়তা এখনো পাননি তারা।
স্থানীয় সাংবাদিক শরীফ আহমেদ মজুমদার বলেন, আশেপাশে আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে চান্দেরবাগ গ্রামের কয়েকটি হিন্দু পরিবারকে মসজিদে থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
ওই গ্রামের বাসিন্দা গিতা রানী বলেন, সংসার জীবনে ডাকাতিয়া নদীতে পানি বাড়ে আবার চলে যায়। ওই গ্রামে রাস্তা সমান পানি হয়। কিন্তু কখনো ঘরে পানি ঢুকেনি। এবার পুরো গ্রাম ডুবে গেছে। কোনোরকম জীবন নিয়ে এই মসজিদে অবস্থান করছি। আশেপাশের কয়েকজন মানুষ শুকনো কিছু খাবার দিয়েছে। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পাইনি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকি বলেন, তাদের কথা শুনেছি, খোঁজখবর নিয়ে সহায়তা করা হবে।
এনএ/