|| কাউসার লাবীব ||
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতের সার্বিক খোঁজ-খবর নিতে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টায় তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে গুরুতর আহতের দেখতে যান।
আহতদের খোঁজ-খবর নেওয়া শেষে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুরুতর আহতের দেখতে এসে যে দৃশ্য দেখলাম তা কোনোভাবেই মানা যায় না। এদের প্রায় সবাইকেই সরাসরি গুলি করা হয়েছে। পুলিশ ও সাবেক সরকার দলীয় লোকজনের নির্মমতার শিকার তারা। একটি সভ্য দেশের কোনো সরকার নাগরিকদের ওপর এভাবে গুলি করতে পারে না। কোনো মানুষে এই রোগিদের দেখলে মনে করবে, তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো দেশ থেকে যুদ্ধাহত হয়ে ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা এই নির্মমতার বিচার চাই। যারা গুলি করেছে এবং যারা গুলি করার নির্দেশে দিয়েছে সবাইকে তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, সরকার আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছে। তবে অনেক ঔষধই হাসপাতালে থাকে না যেগুলো তাদেরকে বাইরে থেকে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। আহতদের শতভাগ উন্নত চিকিৎসা ও মেডিসিন যেন সরকারিভাবে হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় সে বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
‘আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এখানে অনেকেই এমন আছেন যারা পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি। তারা আহত হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে তাদের পরিবার। এসব মানুষজনকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ -যুক্ত করেন মাওলানা মামুনুল হক।
এছাড়া তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা ও আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমাদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মুফতি শরাফত হুসাইন, মাওলানা মাহবুবুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত, মাওলানা শরীফ হুসাইন, মোল্লা খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমূখ।
এদিকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল আমিন জানান, আন্দোলনে তুলনামূলক কম আহত যারা ছিল তারা চিকিৎসা নিয়ে ইতোমধ্যেই হাসপাতাল ছেড়েছেন। তবে যারা গুরুতর আহত তারাই এখনো চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে আলাদা একটি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। প্রায় প্রত্যেক রোগিকেই অপারেশন করে গুলি বের করতে হয়েছে। আমরা দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করেছি।
তিনি আরো জানান, মাওলানা মামুনুল হক গুরুতর আহতদের সবার সঙ্গেই কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। আহতরা তাকে দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকে মাওলানা মামুনুল হককে পাশে পেয়ে কেঁদে দেন। সুস্থতার জন্য দোয়া চান।
কেএল/