শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ২৫ নভেম্বর ‘আলেমদের নেতৃত্বেই কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন সম্ভব’ বইমেলায় ‘সঠিক নিয়মে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ বাংলা’-এর মোড়ক উম্মোচন সিলেটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সমাবেশ শনিবার সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলেম রাজনীতিবিদরা খালেদা জিয়াকে পেয়ে সেনাকুঞ্জ গর্বিত: প্রধান উপদেষ্টা লক্ষ্মীপুর মারকাযুন নূরে ১১ মাসে হাফেজ হল ১১ বছরের শিশু আফসার যেসব অভ্যাস নীরবে মস্তিষ্কের ভয়াবহ ক্ষতি করে বৈষম্য ও অন্যায় নির্মূলে খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই: মজলিস আমীর আওয়ামীলীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান খেলাফত মজলিসের

রাষ্ট্রের নানা কাজেই কওমি মাদরাসার তরুণরা ভূমিকা রাখতে পারে : ঢাবি অধ্যাপক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী

'রাষ্ট্রের নানা কাজেই কওমি মাদরাসার তরুণরা ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের সরকার চাইলে কওমি তরুণদের মেধাকে রাষ্ট্রের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারে। এতে রাষ্ট্রের উপকারই হবে। এজন্য রাষ্ট্র এবং কওমি মাদরাসার অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে।'

আজ বুধবার (১৪ আগস্ট ২০২৪) এক সাক্ষাৎকারে আওয়ার ইসলামকে এই কথা বলেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী।

আরও পড়ুন : সরকারি সকল দফতরে কওমি তরুণদের মেধার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ আছে : ইফা মুহাদ্দিস

আরও পড়ুন : ‘সরকারি দফতরে কওমি মেধাবীদের আলো ছড়াতে রাষ্ট্র ও বোর্ড কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসতে হবে ’

তিনি বলেন, কওমি মাদরাসায় যারা পড়ে, তাদের অল্পকিছু বাদ দিলে সবাই মেধাবী। আশি পার্সেন্ট স্টুডেন্টই মেধাবী। কেন মেধাবী? কারণ তাদের অধিকাংশই হাফেজ হয়। আর হাফেজ তারাই হতে পারে, যারা প্রচন্ড্র মেধাবী। সাধারণ মেধার অধিকারীরা হাফেজ হতে পারে না। প্রচন্ড্র মেধাবী যেহেতু, তাই তাদের মাধ্যমে অনেক কিছু করা সম্ভব। তারা আঁকাআঁকি, গ্রাফিতি করলেও ভালো করতে পারে। মানবসেবায় নিয়োজিত হলে ভালো সেবা করতে পারে। নির্মাণ, উন্নয়নমূলক যে কোনো কাজেই তারা যুক্ত হয়, সেখানেও ভালো করতে পারে তারা’।

ড. মুহাম্মদ গোলাম রব্বানীর মতে, ‘সরকারিভাবে কওমির সন্তানদের কাজে লাগাতে হলে তাদের শিক্ষার স্তরগুলোকে স্বীকৃতি দিতে হয়। আর বেসরকারিভাবে তাদের কাজে লাগাতে সামান্য একটু ট্রেনিং দিলেই হবে। সাধারণত আমরা যেসব অফিসে কাজ করি বা করা হয়, সেসব অফিসের কাজ কিন্তু কলেজ বা ভার্সিটিতে শেখানো হয় না। অফিসের কাজগুলো উর্ধ্বতন যারা থাকেন তাদের কাছ থেকে শিখে নিতে হয়। এতে পাঁচ-ছয়দিন সময় লাগতে পারে। কওমির সন্তানদের, আরবির পাশাপাশি ইংরেজি, বাংলা, উর্দুর যেসব ব্যাসিক বই পড়ানো হয়, তাতে তাদের জ্ঞানের প্রখরতা হয়। ভাষাজ্ঞানও তাদের মজবুত হয়। তাই আমি মনে করি, কওমির সন্তানদের এখনো যদি যে কোনো অফিসে সুযোগ দেয়া হয়, অল্প একটু ট্রেনিং দেয়া হয় তাদের, তাহলে তারা ভালো করতে পারবে।’

সনদ ডিগ্রির স্বীকৃতির বর্তমান রূপকে সংস্কার করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করে তিনি বলেন, কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিচের স্তরগুলোতে এসএসসি, এইচএসসি লেভেলের স্বীকৃতি দিলে এর সার্টিফিকেট দিয়েও কওমি সন্তানরা রাষ্ট্রের নানা সেক্টরের কাজে অংশ নিতে পারবে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ