বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


কোরআনের আলো জ্বালানোর স্বপ্নেবিভোর অসুস্থ মুফতি সালমান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘরে ঘরে কোরআনের আলো পৌঁছে দিতে কাজ করছে ‘দ্বীনিয়াত বাংলাদেশ’। এই সংস্থাটির রাহবার মুফতি সালমান আহমাদ। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি আজগর আলী হাসপাতালে শয্যাশায়ী। যখন প্রথম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখন চিকিৎসকরা হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন। আইসিইউতে ছিলেন মুফতি সালমান। দেশ-বিদেশে থাকা তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়া ও চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় আল্লাহ তায়ালা তাকে আবার কেবিনে ফিরিয়ে এনেছেন।

শুক্রবার এই মহান দায়ী’কে হাসপাতালে দেখতে যান অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ও আলেম-ওলামা। এ সময় বিছানায় শুয়ে মুফতি সালমান তাদের স্বপ্নের কথা বলছিলেন। বলেন, আমি সব স্কুলগামী শিক্ষার্থীর অন্তরে কোরআনের আলো জ্বালিয়ে দিতে চাই। আমি ‘দ্বীনিয়াত বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে ঘরে ঘরে নর-নারী, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা নির্বিশেষে সবাইকে কোরআনের আলোয় আলোকিত করতে চাই।

এ সময় মুফতি সালমান সৌদিপ্রবাসী এক শুভাকাঙ্ক্ষী আলেমের দোয়া প্রসঙ্গে বলেন, তিনি তার জন্য দিল থেকে দোয়া করছেন। তিনি ইনশাল্লাহ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আবার কোরআনের খেদমত করবেন। ওই সৌদিপ্রবাসী আলেম তাকে সাহস দিয়ে বলেন- আপনি শিগগির সুস্থ হয়ে উঠবেন। এক সময় মদিনায় আসবেন। মদিনায় আপনার মৃত্যু হবে। জান্নাতুল বাকিতে সাহাবিদের সঙ্গে আপনি শেষ ঘুম ঘুমাবেন।

তার এমন আশা জাগানিয়া দোয়ায় মুফতি সালমান বেঁচে থাকার জন্য নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন।

ইতোমধ্যে কোরআনের এই খাদেমের জন্য কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড হাইয়াতুল উলয়িার চেয়ারম্যান ও রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাদরাসার শায়খ মাহমুদুল হাসানসহ দেশ-বিদেশের বরেণ্য ওলামা-মাশায়েখ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা দোয়া করে যাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, স্কুলগামী শিশুদের দ্বীন শেখার অভিনব পদ্ধতি সংস্থা ‘দ্বীনিয়াত বাংলাদেশ’র প্রধান মুফতি সালমান আহমাদ একাধারে আলেম, ব্যবসায়ী, দীনের দাঈ ও স্বাপ্নিক মানুষ। তাবলিগ জামাতের প্রবীণ মুরব্বী মাওলানা ওয়াজিউল্লাহ (রহ.)- এর বড় ছেলে। সম্প্রতি দ্বীনিয়াতের কার্যক্রম ছড়িয়ে গেছে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে।

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে মাসখানেক সফর শেষে দেশে ফেরার তিন দিন পর জ্বরে আক্রান্ত হন মুফতি সালমান। প্রথমে সাধারণ জ্বর ভেবে বিষয়টি তেমন আমলে নেননি তিনি। প্রায় পাঁচ দিন পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে খিলগাঁও এলাকার খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজগর আলী হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার এতটাই অবনতি ঘটেছিল- চিকিৎসকরা প্রায় ৮০ ভাগ মৃত ঘোষণা করেন। এরপরও দেশ-বিদেশে ওলামা-মাশায়েখ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়ায় পাঁচ দিনের মাথায় তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ