আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রমজান ইবাদতের মাস, বিশেষভাবে আল্লাহ নৈকট্য অর্জন করার মাস। বান্দা যেন সহজে নৈকট্য অর্জন করতে পারে সেজন্যে রমজান মাসে দিনে রোজা রাখাকে আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন, রাতে তারাবির নামাজের বিধান দিয়েছেন।
হাদিস শরিফে তারাবির অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে- হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে রাতে নফল নামাজ পড়ার প্রতি উৎসাহ দিতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে নফল (তারাবি) নামাজ পড়বে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ (বুখারি শরীফ হাদিস- ২০০৯)
এ থেকে বোঝা যায় হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের রাতে নফল তথা তারাবির নামাজ নিজেও পড়তেন এবং সাহাবাদেরও তা আদায়ে উৎসাহিত করতেন।
অন্য আরেক হাদিসে এসেছে, হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের রোজা রাখা তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। আর আমি তোমাদের জন্য রমজান মাসব্যাপী আল্লাহর এবাদতে দাঁড়ানো সুন্নাতরূপে চালু করেছি। কাজেই যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ঈমান ও সওয়াবের আশা নিয়ে এ মাসের রোজা রাখবে ও নফল (তারাবির) নামাজ পড়বে, সে তার জন্মদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে। (নাসাঈ, হাদিস: ২২১২। মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৬৬০।)
তারাবির নামাজের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য কোরআনের পঠন ও শ্রোবণ। রমজান মাসে তারাবিতে অন্তত এক খতম কোরআন মাজিদ পড়া বা শোনা সুন্নত। এছাড়া কুরআন খতমের মুহূর্ত হলো দুই কবুলের মুহূর্ত। হাদিসে এসেছে, হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রা.) হতে বর্ণিত, ‘রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ফরজ নামাজ পড়লো, তার দোয়া কবুল হয়। আর যে ব্যক্তি কোরআন খতম করলো তার দোয়াও কবুল হবে।’ (আল-মুজামুল কাবীর, হাদিস: ৬৪৭)
তাই আমাদের উচিত, তারাবি নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া।
-একে