রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


অন্যের হক আমার কাঙ্ক্ষিত পথ রুদ্ধ করবে না তো?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মুহাম্মদ শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজি।: বর্তমান সমাজে নামাজী, হাজ্বী, বিশিষ্ট দানবীরদের অভাব না থাকলেও লেনদেনে স্বচ্ছ মানুষের খুবই অভাব।

চলার পথে মানুষের সাথে কথা বললে বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। লেনদেনে অস্বচ্ছ ব্যাক্তিরা নিচের দুটি হাদিসের প্রতি লক্ষ্য করুন।

১, হযরত আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ধনী ব্যক্তির (ঋণ আদায়ে) গড়িমসি করা যুলুম। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৪০০)

আমরা অনেকেই ঋণ আদায়ে খুব গড়িমসি করি, আমাদের কারো কাছে এবিষয়টি কি জানা আছে যে, আমরা কবে মৃত্যু বরণ করব?

আল্লাহ না করুন, হঠাৎ যদি মৃত্যু এসে যায়, আর আমার মাথার উপর অন্যের বোঝা রয়ে যায়?

হযরত আবূ হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মু'মিন ব্যক্তির রূ্হ্ ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত তার ঋণের সাথে বন্ধক থাকে। জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১০৭৯ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

সুতরাং উপরোক্ত হাদিস দ্বয়ের মাধ্যমে বুঝা যায়, অন্যের পাওনার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া চাই।

আমাদের আকাবীর আসলাফদের পদ্ধতি ছিলো, তারা কারো কাছে পাওনা থাকলে তা লিখে রাখতেন। এবং দেওনা থাকলে তাও লিখে রাখতেন।
এবং এটিই কোরআন সুন্নাহের পদ্ধতি।

বর্তমানে সমাজের আনাচে কানাচে ভূমিদস্যু হতে নিয়ে বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হওয়া মানুষের অভাব নাই। কিভাবে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা যায় সেই ফিকিরেই ব্যাস্ত। অথচ স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কালামুল্লায় এরশাদ করেন, হে মুমিনগণ, তোমরা পরস্পরের মধ্যে তোমাদের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না। (সূরা নিসা ২৯)

হাদিস শরিফে এসেছে, আদি ইবন আমিরা আল-কিন্দি রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘আমি যাকে তোমাদের কোনো কাজের দায়িত্বশীল করি, অতঃপর সে সুচ পরিমাণ বস্তু বা তার চেয়ে বেশি সম্পদ আত্মসাৎ করল, সেটাই হবে খিয়ানত। কিয়ামতের দিন সেই বস্তু নিয়ে সে উপস্থিত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৩৩)

পরিশেষে নবীজীর সুন্নাহ অনুযায়ী আমরা লেনদেনে স্বচ্ছ হওয়ার মানসে সর্বদা অন্যের হক্ব সম্পর্কে সতর্ক থাকবো। আল্লাহ তাআলা তাওফিক দান করুক।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ