আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অবৈধ উপায়ে সম্পদ উপার্জন করা হারাম। উপার্জিত হারাম সম্পদ উপার্জনকারীর দুনিয়া ও পরকালের কোনো উপকারেই আসে না। এমনকি হারাম অর্থের দান যেমনি আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না তেমনি হারাম উপার্জনের অর্থ রেখে মারা গেলেও সে সম্পদ হবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির পূঁজি।
মহানবী সা. বলেছেন, কেয়ামতের দিন প্রত্যেক মানুষকেই জিজ্ঞাসা করা হবে যে, সে কিভাবে সম্পদ অর্জন করছে। অর্জিত সম্পদ বৈধ না অবৈধ উপায়ে উপার্জিত, সে হিসাব দিতে হবে। হিসাব দেয়ার আগে কোনো বান্দাকেই এক কদমও নড়তে দেয়া হবে না।
সুতরাং অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন করা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে। আর অবৈধ উপায়ে অর্জিত হারাম সম্পদ মানুষের কোনো উপকারে আসবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মহানবী সা.।
হাদিসে এসেছে- মাসউদ রা. বর্ণনা করেন, মহানবী সা. বলেছেন, কোনো বান্দা হারাম পদ্ধতিতে উপার্জিত অর্থ দান খয়রাত করলে তা কবুল হবে না এবং তা নিজ কাজে ব্যয় করলে বরকত হবে না। আর ঐ ধন তার উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেলে তা তার দোজখের পুঁজি হবে।’ (মিশকাত)
হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে-
১. হারাম সম্পদ থেকে দান করা যাবে না। দান করলেও তা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
২. হারাম সম্পদ নিজ কাজে ব্যয় করলেও তাতে বরকত হবে না।
৩. উত্তরাধিকারদের জন্য রেখে গেলেও তা হবে তার জন্য জাহান্নামের জ্বালানি।
মহানবী সা.- এর হাদিসের ওপর আমল করে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন থেকে বিরত থাকলে মানুষের দুনিয়া ও পরকালের প্রতিটি কাজে আসবে সফলতা।
আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে হালাল উপার্জনের মাধ্যমে দুনিয়ার স্বচ্ছলতা ও পরকালের সফলতা দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন।
টিএ/