আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় হাইকোর্টে রিট হয়েছে। বুধবার বিকেল পৌনে ৪টায় রিট আবেদন করা হয়।
বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরি অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুমকে বিবাদী করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজী মো. মহসীন বলেন, ‘পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশনের (জনস্বার্থ মামলা) আওতায় র্যাগিংয়ের ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট চেয়ে রিট আবেদন করেছি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) শুনানি ও আদেশ হবে।’
এর আগে ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনা হয়। অন্যদিকে নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার ও রবিবার দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় নবীন এক ছাত্রীকে ৩-৪ ঘণ্টা করে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তরা মারধরের পাশাপাশি অশালীন গালিগালাজ, হুমকি-ধমকি এবং ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করার হুমকিসহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। মঙ্গলবার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সানজিদা চৌধুরি অন্তরা ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ তাদের সঙ্গী ৭/৮ জন।
এদিকে একই দিনে অন্তরা ঘটনা মিথ্যা দাবি করে ভুক্তভোগীর ও প্রকাশিত সংবাদের বিচারের দাবিতে প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে হলের আবাসিক ছাত্রীরা স্বাক্ষর করেছেন। জোরপূর্বক ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর রয়েছে বলে জানা গেছে।
-এটি