সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

মেয়ের ‘মৃত’ ধর্ষককে জীবিত খুঁজে বের করলেন সাহসী মা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মেয়ের ধর্ষককে মৃত বলে মাকে জানিয়েছিল বিহার কর্তৃপক্ষ। আসামি মৃত হওয়ায় যথারীতি সেই ধর্ষণ মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে কর্তৃপক্ষের এই কথায় আস্থা রাখতে পারেননি নির্মমতার শিকার হওয়া মেয়েটির মা। কর্তৃপক্ষের দাবি নিয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন। এরপর নিজ দায়িত্বে ধর্ষককে খুঁজে বের করেন এবং পুনঃরায় চালু হয় ধর্ষণ মামলাটি।

বিবিসির অনুসন্ধানে জানা যায়, গেল বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গঙ্গার ধারে এক ব্যক্তিকে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে আসে দুই ব্যক্তি। যথারীতি চিতাও জ্বলে। তবে সবই ছিল নাটক। ছবি তোলার পর পোড়ানোর নাম করে ওই ব্যক্তিকে আড়াল করা হয়। যা তাকে (ধর্ষককে) মৃত ঘোষণার প্রমাণ হিসেবে দাঁড় করানো হয়।

ওই ধর্ষকের নাম নিরাজ মোদি। বয়স ৩৯। তিনি একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। আর তার কথিত শেষকৃত্যে হাজির হওয়া বাকি ব্যক্তির মধ্যে ছিলেন, তার বাবা রাজারাম মোদি ও একজন স্থানীয় কৃষক।

ছেলের শেষকৃত্যের ছবি নিয়ে আদালতে হাজির নিরাজের বাবা রাজারাম দাবি করেন, গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে মারা গেছে।

পুলিশ নিরাজের নামে ২০১৮ সালে ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অপরাধে অভিযোগপত্র দেওয়ার ছয়দিন পর এই কাণ্ড ঘটান নিরাজের বাবা। এই ঘটনায় নিরাজকে গ্রেফতারও করা হয়। তবে দুই মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পায় ওই স্কুল শিক্ষক।

গত বছর নিরাজের মৃত্যুর নাটক সাজানোর পরই স্থানীয় প্রশাসন নিরাজ মারা গেছে মর্মে সনদ প্রদান করে। আর সেই সনদের ওপর ভর করেই মামলার ইতি টানে আদালত।

তবে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মায়ের কাছে নিরাজের মৃত্যুর ঘটনাটি সাজানো নাটক মনে হয়। ওই নারী বলেন, ‘যখন আমি শুনলাম নিরাজ মোদি মারা গেছে, আমি জানতাম এটা মিথ্যা। আমি জানতাম সে বেঁচে আছে।’

এরপর শুরু হয়ে ব্যক্তিগত অনুসন্ধান। আর সেই অনুসন্ধানে নিরাজের মৃত্যুর ঘটনার কোনো প্রমাণ পান না ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটির মা। তিনি আবার আদালতে যান, দাবি জানান পুনঃতদন্তের। আদালত নিরাজ যে বেঁচে আছে এই মর্মে প্রমাণ দাবি করে।

তদন্ত করা কর্মকর্তা জানান, ‘নিরাজের মৃত্যুর বিষয়ে এমনকি তার স্বজনরাও কিছুই জানে না।’ এ বিষয়ে নিরাজের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনিও বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

তদন্তে উঠে আসে নিরাজের মৃত্যুর ঘটনাটি সাজানো। এরপর নিরাজের মৃত্যু সনদও প্রত্যাহার করা হয়।

গত বছরের জুলাই মাসেই ফের চালু হয় ধর্ষণ মামলাটি। একই বছরের অক্টোবরে আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করেন নিরাজ। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তাকে দোষী সাবস্ত্য করে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। করা হয়েছে তিন লাখ রুপি জরিমানা। এছাড়াও প্রতারণার ও অসততার অভিযোগেও সাজা হতে পারে নিরাজের। তার বাবাকেও একই কারণে আনা হয়েছে আইনের আওতায়।

সূত্র: বিবিসি

টিএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ