শাহিনুর মিয়া: জনৈক বুজুর্গ একটি ঘটনা লিখেছেন যে, প্রাক-ইসলাম যুগে একজন ধনাঢ্য ইহুদী ছিল। ঘটনাটি ওই যুগের, যে যুগে মানুষ মাটির নিছে গোডাউন বানিয়ে সেখানে ধন-সম্পদ জমা রাখত। এটা ঠিক কারুনের মতো যার সম্পর্কে কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে যে, সে ধন-সম্পদের বিশাল ভাণ্ডার তৈরি করেছিল।
তো একবার ইহুদী গোপনো স্বীয় গোডাউন পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে সেখান গেল। প্রবেশকালে সে কাউকেই জানায়নি যে, সে গোডাউনের ভিতরে যাচ্ছে। এমনকি তার দারোয়ানকেও নয়।
গোডাউনের দরজার সিস্টেম ছিল ভিতর থেকে বন্ধ করা যায়, কিন্ত খোলা যায় না। খোলার সিস্টেম শুধু বাইরের দিক থেকেই ছিল। এদিকে ইহুদী বেখেয়ালে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিল। ভিতর থেকে দরজা খোলার কোনো পথ ছিল না।
প্রহরীও বাইর থেকে ভেবেছে, গোডাউন বন্ধ। সে কল্পনাও করেনি যে গোডাউনের মালিক ভিতরে রয়েছে। এদিকে, গোডাউনের মালিকও অভ্যন্তরীণ সবকিছু পরিদর্শন করছিল। পরিদর্শন শেষে যখন বের হতে চাইল, তখন বের হওয়ার কোনো পথ পেল না, ফলে সে বন্ধী হয়ে গেল।
কিছুক্ষণ পর তার ক্ষুধা অনুভূত হলো; স্বর্ণ-রৌপ্যের স্তূপ পরে আছে, তবুও ক্ষুধা নিবারণ করতে পারছিল না। সম্পদের স্তূপ পড়ে আছে, কিন্ত পিপাসার্ত হওয়ার পর পিপাসা মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। গোডাউনের সম্পদ তার শয্যার কাজেও আসছিল না। ফলে তার ঘুম পাচ্ছিল, তবে শয্যা তৈরি করার কিছুই নেই।
অবশেষে এভাবে ক্ষুধার্থ, পিপাসার্ত, নির্ঘুম অবস্তায় যে কয়দিন জীবত থাকা সম্ভব ছিল- সে কয়দিন জীবত ছিল। অতঃপরে একসময় তার সম্পদের প্রাচুর্যের ভিতরেই তার মৃত্যু হলো।
সুতরাং এ টাকা-পয়সা শরীরের জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত কোন কাজে আসে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার পরিচালনা ব্যবস্থা ও পদ্ধতি সঠিক না হয়। সূত্র: ইসলাহী খুতুবাহ
-এসআর