আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়া এবং পূর্ব তিমুরের সমুদ্রের গভীরে মঙ্গলবার ভোরে ৭.৬-মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে আশেপাশের দ্বীপগুলো কেঁপে ওঠে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অন্তত একজন আহত হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ অ্যাম্বোন থেকে ৪২৭ কিলোমিটার (২৬৫ মাইল) দক্ষিণে সমুদ্রতলের ৯৫ কিলোমিটার গভীরে।
ইন্দোনেশিয়ার মেটিওরোলজি, ক্লাইমাটোলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্স এজেন্সি (বিএমকেজি) জানিয়েছে, তিমুরের পূর্ব দ্বীপ, মালুকু দ্বীপপুঞ্জ এবং পাপুয়াতে কম্পন অনুভূত হয়েছে। এটি ৫.৫ মাত্রার কয়েকটি আফটারশকের খবর দিয়েছে।
আম্বনের অধিবাসী এক ইন্দোনেশিয়ান হামদি এএফপিকে বলেছেন, ‘আমি বিছানায় ছিলাম, তখন আমি একটু ঝাঁকুনি অনুভব করি। আমি জেগে উঠে দেখি যে আমার অনেক বন্ধুও এটা অনুভব করেছে।’
দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জে অন্তত ১৫টি বাড়ি ও দুটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিএনপিবি বলেছে, ৮,০০০ জনসংখ্যা সহ দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম শহর সাউমলাকিতে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিএনপিবি মুখপাত্র আব্দুল মুহারী বলেন, ‘স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থা একজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। তিন থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে কম্পনটি (তানিম্বারে) প্রবলভাবে অনুভূত হয়েছিল।’
‘লোকেরা এ সময় আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।’
এজেন্সি’র শেয়ার করা ছবিগুলোতে দক্ষিণ-পশ্চিম মালুকু রিজেন্সির বেশ কয়েকটি গ্রােেমর বাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত দেখা যায়।
একটি গ্রামে বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ছাদ ও দেয়াল ধসে পড়েছে। ধ্বংসাবশেষ এবং ঘরের জিনিসপত্র মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে।
টুইটারে এক ভিডিও পোস্টে দেখা যায়, ভূমিকম্পের ফলে বিদ্যুতের খুঁটি নড়তে শুরু করে এবং মালুকু দ্বীপপুঞ্জের একটি বন্দর তুয়ালের বাসিন্দাদের ভবন থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসতে দেখা যায়।
ইন্দোনেশিয়ার জিওফিজিক্স এজেন্সি প্রাথমিকভাবে একটি সম্ভাব্য সুনামির বিষয়ে সতর্ক করেছিল এবং পরে সতর্কতা তুলে নেয়।
-এসআর