সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য মুরব্বিদের ২০ পরামর্শ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আগামী ১৩, ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ বিশ্ব ইজতেমায় আগত সাথীদের জন্য বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন মাঠের জিম্মাদার ও তাবলিগের মুরব্বিগণ।

এক. ইজতেমার তিনদিন অপ্রয়োজনে ফেসবুক চালানো থেকে বিরত থাকা। ময়দানের বয়ান মনোযোগ দিয়ে হেদায়েতের নিয়তে শোনা।

দুই. ইজতেমায় জামাতবদ্ধ হয়ে আসা, একাকি না আসা।

তিন. ছোটো বাচ্চাদের না আনা। মোনাজাতে অংশ নিতে নারীদের আসতে বারণ করা।

চার. যারা তিনদিনের জন্য মাঠে আসবেন, তারা মনোযোগ সহকারে বয়ান শোনার জন্য মোবাইল বন্ধ রাখবেন।

পাঁচ. যারা মাঠে আসবেন ফিরতি গাড়ি ভাড়া করে আনবেন না যাওয়ার টিকিট ক্রয় করবেন না। কারণ মাঠের বয়ান কিংবা কারগুজারি শুনে আপনার দিল তৈরি হতে পারে, চিল্লার সফরে নাম লিখিয়ে দিতে পারেন।

ছয়. ইজতেমার ময়দানের ভেতরে-বাইরে কোনোরূপ ভিডিও করার চেষ্টা করবেন না।

সাত. শুধু লোক দেখতে, ঘুরতে অথবা জুমার নামাজ আদায় করতে কিংবা দোয়ায় অংশ নিতে ইজতেমার মাঠে আসবেন না। আসলে কমপক্ষে ভোর থেকে এশা পর্যন্ত আসবেন, মনোযোগ দিয়ে বয়ান শুনবেন।

আট. ময়দানে কিছু হারিয়ে গেলে বা পেলে হারানো-প্রাপ্তির কামরায় যোগাযোগ করবেন।

নয়. কোনো সমস্যা তৈরি হলে দ্রুত স্বেচ্ছাসেবক, জামাতের আমির, খিত্তার জিম্মাদার অথবা আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানাবেন।

দশ. অসুস্থ হলে দ্রুত খিত্তায় অবস্থানরত চিকিৎসক, মাঠের পার্শ্বে স্থাপতি মেডিকেল ক্যাম্প অথবা চিকিৎসক টিমের স্মরণাপন্ন হবেন।

এগারো. শুকনো খাবার ও পানি সঙ্গে রাখবেন।

বারো. স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ছাত্র, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, শিক্ষক, আলেম ও রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে আলাদা আলাদা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান হবে ইজতেমার ময়দানে। এসব বয়ান কখন হবে তা জানতে সংশ্লিষ্ট খিত্তায় খোঁজ নিন।

তেরো. রাতে যারা ময়দানে থাকবেন, প্রয়োজনীয় বিছানা ও শীতের কাপড় সঙ্গে আনবেন এবং মাঠের ম্যাপ দেখে আপনার এলাকার সাথীদের সঙ্গে থাকবেন।

চৌদ্দ. প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। গ্যাস সিলিন্ডার ও রান্নার সরঞ্জামাদি সাবধানে রাখবেন।

পনেরো. সম্মিলিত মাল-সামানা, হাড়ি-পাতিল, রান্নার সামগ্রী ইত্যাদি যথাসম্ভব গুছিয়ে অল্প জায়গায় রাখবেন। যেনো সাথী ভাইদের বেশি জায়গা দেওয়া যায়, তাদের চলাচলে কষ্ট না হয়।

ষোলো. অজু-বাথরুম শেষে হাতে করে জুতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করলে, জুতার পানি মানুষ কিংবা অন্যের মাল-সামানার ওপর পরে, আর জুতা হারায়ও বেশি। তাই বাড়ি থেকে পলিথিন বা কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে যাওয়া জুতা রাখার জন্য।

সতেরো. নামাজের সময় কাতার সোজা করা জরুরি। এক কাতার থেকে পরের কাতারের দূরত্ব ৬ ফুট। এর মধ্যে ৪ ফুট নামাজের জন্য এবং ২ ফুট সামান রাখার জন্য। কিছু কিছু ভাইকে দেখা যায় কাতারের দাগের ওপর সামান রেখেছেন ফলে কাতার বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এজন্য নামাজের ৫/১০ মিনিট আগেই সাথীদের খেয়াল রাখা, কাতারের ওপর সামানা রাখা হলে তা সরিয়ে কাতার সোজা রাখার ব্যবস্থা করা।

আঠারো. নামাজের জামাতের সময় কাতারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। কোনো অবস্থাতেই খণ্ড খণ্ড কাতার না করা।

ঊনিশ. ইজতেমা মাঠের খোপগুলো ১৮ ফুট×১৮ ফুট। প্রতি খোপে ৩০ জন কিংবা বেশি মানুষকে ঘুমাতে হয়। এক্ষেত্রে অন্যের সুবিধাকে প্রধান্য দেওয়া, নিজে একটু কষ্ট-মোজাহাদা করে হলেও নতুন সাথীদের একরাম করা।

বিশ. যারা খুরুজ (জামাতে যাবেন) হবেন, তারা সরাসরি খিত্তার তাশকিলের জায়গায় যাবেন।

আল্লাহ তাআ'লা আমাদেরকে উক্ত পরামর্শগুলো মেনে চলার তৌফিক দিন এবং সারা দুনিয়ার মানুষের হেদায়েতের জন্য, ঈমান তাজা করার জন্য মকবুল এই দাওয়াতি মেহনতকে কবুল করেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ