আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘আগে রাজাকারদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে আইনগত বৈধতা ছিল না। বর্তমানে পার্লামেন্টে এই আইন পাস হয়েছে। রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে।’
আজ শুক্রবার ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর দারুল উলুম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার নবম আন্তর্জাতিক ইসলামি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যেসব অ-মুক্তিযোদ্ধা তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যেসব অ-মুক্তিযোদ্ধা এতোদিন পর্যন্ত ভাতা গ্রহণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে না পারলেও তাদের ভাতা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করবো। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন আপিলের কাজ চলছে। উপজেলা কমিটির কাছে কেউ যদি সুবিচার না পায়। তাদের কেন্দ্রীয়ভাবে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাত শতাধিক গণকবর শনাক্ত করে তা সংরক্ষণের প্রক্রিয়া চলছে। কোনো গণকবর যদি বাদ পড়ে সেগুলো নজরে আনলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম নামে কিছু সংগঠন তৈরি হয়েছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এসব সংগঠনের কোনো স্বীকৃতি নাই। যে যা করছে নিজ উদ্যোগে করছে। এগুলোতে সরকারের কোনো অনুমোদন নেই। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেই। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকেও কোনো অনুমোদন নাই।’
-এসআর