আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহি লালমাই পাহাড়ের কাছে প্রাকৃিতিক ও নান্দনিক পরিবেশে উদ্বোধন হলো মাদরাসায়ে ফারুকীয়া দারুল উলুম কুমিল্লা।
কুমিল্লায় ইসলাম প্রচার ও ইলমে অহির প্রচার প্রসারের লক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহি লালমাই পাহাড়ের কাছে প্রাকৃিতিক ও নান্দনিক পরিবেশে পাখির কলরবে মুখরিত ১৪ শতাধিক জমির উপরে প্রতিষ্ঠিত ফারুকিয়া দারুল উলুম মাদরাসার শুভ উদ্ভধোনের উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ দোয়া মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মুতাওয়াল্লি সিলভার ডেভলপার্স লিঃ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যাপক ফারুক আহমদ বলেন, আমি হজ্বের সফরে সাফা পাহাড়ে একটি মাদরাসার স্বপ্ন দেখি, সেখান থেকে ফিরে আসার পর আমার বাসার পাশেই ১০০ শতক জায়গা ক্রয় করার নিয়ত করি। প্রায় ৮০ শতক জায়গা মাদরাসার জন্য ক্রয় করি। এরি মধ্যে আমার পুর্ব ক্রয় কৃত লালমাই পাহাড়ের বিজয়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত ১৪ একর (১৪ শো সতক) জায়গার উপরে একটি গরুর খামার করার জন্য যাই। এর মধ্যেই উপর থেকে একটা আওয়াজ আসলো যে তোমাকে এ সম্পদ গরুর খামার তৈরি করতে দেয়া হয়নি। আমি আশপাশে দেখলাম কেউ নাই। আমি নিয়ত করি যে এ জায়গাটি মাদরাসার জন্য দান করবো। কুমিল্লার আল্লামা মুশতাকুন্নবিসহ অনেক উলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করি। তাই আজ আপনারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন। মাদরাসা আমার না। এ মাদরাসা আপনাদের।
মুফতি মুশতাকুন্নবি বলেন, মাদরাসা তিন জিনিসের নাম। ছাত্র উস্তাদ ও মুহিব্বিন। এ তিন ধরনের মানুষ নিয়ে যেনো এ মাদরাসা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে সবাই চেষ্টা ও দোয়া করবেন। আল্লাহ তায়ালা এ মাদরাসাকে কবুল করুন। আমিন।
মুফতি সুলতান আহমদ জাফরী বলেন, মৌলিকভাবেই এ পরিবারটি দীনদার পরিবার। বিশেষ করে কুমিল্লা জেলার রাণীর বাজার মাদরাসা, কাসেমুল উলুম মাদরাসাসহ সব মাদরাসায় বা মসজিদে তারা খেদমত করে আসছেন। তাদের আলেমদের প্রতি ও ইসলামের প্রতি মুহাব্বত ভালোবাসার বহি: প্রকাশ আজকের এ বিশাল মাদরাসার জায়গা। যা প্রায় চৌদ্দশত শতক জায়গায় জুড়ে রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা সিলভার ডেভলপার্স লিঃ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যাপক ফারুক আহমদ ও তার সকল ভাই ও তাদের মরহুম আব্বা আম্মার সদকয়ে জারিয়া হিসেবে এ মাদরাসা কে আল্লাহ পাক কবুল করেন। আগামী জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ এ মাদরাসায় ইসলাহি মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের শাইখুল ইসলাম আল্লামা হুসাইন আহমদ মাদানীর সুযোগ্য সন্তান আল্লামা আসজাদ মাদানি ভারত।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মুফতি শামসুল ইসলাম জিলানী, মুফতি ইয়াকুব আলী, মাওলানা সালমান, ডা, মুসলেহ উদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য প্রায় কয়েক হাজার মুসল্লি। মাদ্রসার মুহতামিম মুফতি মুসতাকুন নবির দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
-এটি