আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চলমান গণআন্দোলনকে দমন করার লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে পুনরায় গায়েবি নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
বুধবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন অভিযোগ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রতিদিন অসংখ্য নেতাকর্মীদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তল্লাশি ও হয়রানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে প্রায় ছয় শতাধিক, মামলা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। কোথাও বাধা দেওয়া হবে না বলেও নির্বিচারে আটক ও গ্রেপ্তার চালাচ্ছে পুলিশ। সভায় এই ধরনের নিকৃষ্ট দমননীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।’
সভায় অবিলম্বে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা বন্ধ করে, মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতির সব দায় এই অবৈধ সরকারকে বহন করতে হবে।
সভায়, পূর্বে ঘোষিত ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নির্বাচন নিয়ে এই অবৈধ সরকারের দুরভিসন্ধিমূলক তৎপরতা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় পূর্বে ঘোষিত ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ নয়াপল্টনে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করা হয়। সব দুরভিসন্ধি, বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে রাজশাহী ও ঢাকায় গণসমাবেশকে সফল করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো হয়।
গত একযুগে সীমাহীন দুর্নীতির শিকার দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অধিকাংশ ক্রমশ দুর্বল হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকটি কাগুজে কোম্পানিকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের ঘটনা গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভা মনে করে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিকল্পিতভাবেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নজিরবিহীন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ধ্বংস করে ফেলেছে। অর্থনীতি চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।
-এটি