বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

গণশুনানি ছাড়াই জ্বালানির দাম ঠিক করবে সরকার, অধ্যাদেশ জারি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিশেষ পরিস্থিতিতে গণশুনানি ছাড়া সরাসরি জ্বালানির দাম সমন্বয় করার ক্ষমতা সরকারের কাছে আনতে আইন সংশোধনে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

সংসদ অধিবেশন না থাকলে জরুরি কোনো প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেন। অধ্যাদেশ জারির পর সংসদের প্রথম বৈঠকে তা উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। আর স্বাভাবিকভাবে আগে সংসদে উপস্থাপন হয়। আইন সভায় পাস পেলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে কার্যকর হয়।

আগের আইনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর এই ক্ষমতা ছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)। এ সংশোধনীর কারণে বিইআরসির পাশাপাশি সরকার ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে’ সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে।

২০০৩ সালের প্রণীত আইনের ৩৪ ধারায় সংশোধনের পাশাপাশি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

আইনের নতুন ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালী কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এর উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণশুনানি ছাড়া জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি বা সমন্বয়ের যে এক তরফা ক্ষমতা সরকার হাতে নিচ্ছে, তাতে অকার্যকর করা হলো বিইআরসিকে। আর ভোক্তার অধিকারও খর্ব হবে ।

আগের আইনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বিইআরসি ৯০ দিন সময় নিয়ে নির্ধারণ করে। এ সময়ের মধ্যে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মতামত নেওয়া হয় ভোক্তা প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের। সেখানে জ্বালানি সেক্টরের অপচয়, অনিয়ম, দুর্নীতি, অভিযোগ এবং করণীয় নির্ধারণের বিষয়ে গণমানুষ মতামত দিয়ে থাকে গণশুনানিতে। এই অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার পর জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করতে কোনো গণশুনানির প্রয়োজন পড়বে না।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ