আওয়ার ইসলাম ডেস্ক:।। ঢাকার টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের হাটহাজারী চারিয়া আঞ্চলিক ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত ১৫ জেলার পুরাতন সাথী ও ১সাল এর আলেমদের নিয়ে তিন দিনের তাবলীগী জোড় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা সফলের দোয়া করে শেষ হয়েছে।
প্রথম বারের মত ইজতেমা মাঠে জোড়ের আয়োজন হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসীদের উৎসুক-উদ্দীপনা ছিলো চোখে পড়ার মত। হাটহাজারী উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার রাঙ্গুনীয়া, রাউজান, ফটিকছড়ি ও ভূজপুর থেকে ছুটে এসেছে ১৫ জেলার আগত মেহমানদের সাথে জুম্মার নামাজ আদায়ও করা হয়েছে।
ঢাকার টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের হাটহাজারী চারিয়া আঞ্চলিক ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত ১৫ জেলার পুরাতন সাথী ও ১সাল এর আলেমদের নিয়ে তিন দিনের তাবলীগী জোড়ের প্রথম দিনে জুম্মার নামাজে লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে।
এদিকে তিনদিন ব্যাপী তাবলীগী জোড়ে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জোড়ের কার্যক্রম। এ জোড়ে চট্টগ্রাম বিভাগের মোট ১৫টি জেলা তথা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছডি বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বি-বাড়িয়া, বৃহত্তর সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম সহ ১৫ জেলা থেকে তাবলীগের পুরাতন ১চিল্লা, ৩চিল্লা সহ ১ সালের সাথী, মুরুব্বী ও ওলামায়ে কেরামগণ অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও ভারত, পাকিস্তান থেকে ৮টি জামাতে প্রায় দেড়শত মেহমান এ জোড়ে উপস্থিত হয়।
ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন কাকরাইল মারকাজের মুরুব্বী মাওলানা আবদুল বার। জুম্মার নামাজের পর বয়ান করেন হাটহাজারী মাদরাসার মুহাদ্দিস ও তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বী মুফতি জসিম উদ্দিন। বাদে মাগরিব বয়ান করেন উর্দুতে ভারতের মেহমান ও তালীগের মুরুব্বী মাওলানা ইকবাল, বাংলায় অনুবাদ করেন কাকরাইলের মুরুব্বী মাওলানা ওমর ফারুক। তিন দিনের এ জোড়ে মঞ্চ পরিচালানা করেন চট্টগ্রামের লাভলাইনের জিম্মাদার মাওলানা মঈনুদ্দিন, মুফতি শাহেদ ও মাওলানা ইনামুল হাসান।
জুম্মার নামাজে খুতবা ও ইমামতি করেন তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বী ও কাকরাইল মসজিদের আমির মাওলানা জোবায়ের। তিনি গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারীতে উপস্থিত হয়েছেন। নামাজের পরে দেশ মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করেন তাবলীগের মুরুব্বী মুফতি জসিম উদ্দিন।
ইজতেমার নিরাপত্তায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো বলে দাবী করেন হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাসুদ আলম। এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতির ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ইজতেমাস্থলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ইজতেমার সার্বিক চিত্র পর্যবেক্ষণ করা হয়। মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ রাখা হয়।
-এটি