আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ তুলে বলেছেন, রাশিয়ার চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকটের বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। খবর রয়টার্সের।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন। এদিন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের খেরসন ছেড়ে গেলেও হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী। প্রতিদিনই দেশটির কোথাও না কোথাও চলছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ভয়াবহ হামলায় ভেঙে পড়েছে ইউক্রেনের সেবা কার্যক্রম। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অন্ধকারে কয়েক লাখ মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে জরুরি বিভাগের শত শত কর্মী।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খেরসনে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশত। এ ছাড়া ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় বাসিন্দাদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। দেশটিতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। তবে এখনো বহু মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে সতর্ক করেন জেলেনস্কি।
হামলা অব্যাহত রাখলেও ইউক্রেনের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটির ৯ জন যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে কিয়েভ। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৩০০ বন্দি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। যুদ্ধ শুরুর পর দুই দেশের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়ের ঘটনা। ওই সময় রাশিয়া ২১৫ জন ইউক্রেনীয় বন্দিকে মুক্তি দেয়। এর মধ্যে পাঁচজন কমান্ডারও ছিলেন।
ইউক্রেন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, যত দিন প্রয়োজন তত দিন পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে থাকবে ন্যাটো।
রাশিয়াকে প্রতিহত করতে পশ্চিমা সামরিক জোটের সদস্য দেশগুলো ইউক্রেনকে জ্বালানি, চিকিৎসাসামগ্রী, শীতকালীন সরঞ্জাম, ড্রোন জ্যামার প্রভৃতি সরবরাহ করছে বলেও জানান স্টোলটেনবার্গ। এ সময় শস্যচুক্তি অব্যাহত রাখায় তুরস্কের ভূমিকার প্রশংসা করেন ন্যাটো প্রধান। ন্যাটোপ্রধানের এই বক্তব্যের মধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে ৬০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো।
-এএ