বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

দেশে নয় মাসে ধর্ষণের শিকার ৮৩০ নারী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চলতি বছরের গত নয় মাসে ৮৩০ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে দাবি করেছে ‌নারী নিরাপত্তা জোট ও আমরাই পারি জোট।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ‘নিঃশঙ্ক জীবন চাই : নারী নির্যাতনমুক্ত সমাজের অঙ্গীকার চাই’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জোটের প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক।

তিনি বলেন, এই দেশে নারী ঘরে বাইরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ৯টি পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮৩০ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪১১ জন। পারিবারিক নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে ২৫৩ জন নারীকে। এছাড়া নির্যাতনের ফলে আত্মহত্যা করেছে ৭৯ জন। শুধু তাই নয়, এই ৯ মাসে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৪৮ জন নারী।

বর্তমান সরকারের আমলে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরিস্থিতি বিশ্লেষণে নারী ও শিশুর প্রতি সংহিতা দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও দাবি করেন জিনাত আরা।

সংবাদ সম্মেলন থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ৯টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা, বিচারকালে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু নিরাপত্তা ও চিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, সব প্রকার বৈষম্যমূলক আইন ও নারী নির্যাতনবিরোধী আইন সংশোধন করা এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধ নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।

সংবাদ সম্মেলনে নারী নেত্রীরা দাবি করেন, দেশে অধিকাংশ নারী নির্যাতনের মামলার তদন্তে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রভাবশালীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ঘটনাস্থলের আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা না বলে নিজের মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে।

তারা আরও বলেন, নির্যাতনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, নারীর প্রতি নৃশংসতার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। দোষীদের খুঁজে বের করা বা দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলেও তাদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করা হয় না।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ